ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদীপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৪.৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। নদীর একপাশে রাজাপুর থাকলেও অপরপাশে রয়েছে চার উপজেলার সীমান্ত এলাকা— নলছিটি, বাকেরগঞ্জ, বেতাগী ও কাঁঠালিয়া। এর মধ্যে নলছিটি উপজেলার চানপুরা, ভবানিপুর, নলবুনিয়া, হদুয়া, গজালিয়া; বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি, বেতাগীর শেষাংশ এবং কাঁঠালিয়ার জাংগালিয়া অংশকে অতিসংবেদনশীল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাজাপুর উপজেলা মৎস্য দপ্তর জানায়, উল্লিখিত এলাকার বেশিরভাগ অংশ অন্য উপজেলার অধীন হলেও সেসব উপজেলার শেষ প্রান্ত হওয়ায় কার্যত কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না। ফলে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে রাজাপুর মৎস্য দপ্তরের প্রচেষ্টা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ বছর রাজাপুরে জেলে পল্লীগুলোতে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হয়েছে। মাইকিং, ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেটের মাধ্যমে প্রচারণা চালানোর কারণে রাজাপুরের অধিকাংশ জেলে ইতোমধ্যে আইন মানতে সচেষ্ট হয়েছেন। তবে আশপাশের উপজেলার জেলেরা নদীতে নামলে রাজাপুরের স্থানীয় জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজাপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান, “স্বল্প জনবল ও সীমিত আর্থিক সক্ষমতা নিয়েও মা ইলিশ রক্ষায় আমাদের পক্ষ থেকে সামান্যতম ত্রুটি থাকবে না। তবে এ কাজে উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য দপ্তরের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সকল স্তরের জনগণ, বিশেষ করে স্থানীয় সাংবাদিক সমাজের সহযোগিতা প্রয়োজন। যে কোনো পরামর্শ ও অভিযোগ দ্রুত জানানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :