শ্রীলঙ্কায় দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষমতাধর রাজাপাকসে পরিবারের এক সদস্যকে আটক করেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (সিআইএবিওসি)। বুধবার (৬ আগস্ট) গ্রেপ্তার হন সাবেক মন্ত্রী শাশীন্দ্র রাজাপাকসে। তিনি দেশেটির দুই সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা ও গোটাবায়া রাজাপাকসের ভাতিজা।
সিআইএবিওসি জানিয়েছে, শাশীন্দ্র সরকারি কর্মকর্তাদের চাপ দিয়ে ক্ষতিপূরণ আদায় করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি দাবি করেছিলেন, তার মালিকানাধীন একটি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সে জন্য তিনি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। কিন্তু তদন্তে জানা গেছে, ওই সম্পত্তি সরকারি জমির ওপর অবস্থিত। সংস্থাটির ভাষায়, ‘তিনি সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন, যা দুর্নীতির অপরাধ।’
গত সেপ্টেম্বর ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমারা ডিসানায়েকের নেতৃত্বাধীন বামপন্থী সরকার দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতির পর শাশীন্দ্র রাজাপাকসে হলেন প্রথম রাজাপাকসে পরিবারের সদস্য, যিনি গ্রেপ্তার হলেন।
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কা ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে এবং ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণে খেলাপি ঘোষণা করে। নিত্যপণ্যের ঘাটতি ও চরম মূল্যবৃদ্ধিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে গোটাবায়া রাজাপাকসে প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে বাধ্য হন।
এ ছাড়া রাজাপাকসে পরিবারের আরও কয়েক সদস্য দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। মাহিন্দা রাজাপাকসের দুই ছেলে— নামাল ও ইয়োশিথাও অর্থপাচারের মামলায় জড়িত। ইয়োশিথা তদন্তে জানিয়েছেন, তিনি বিপুল অর্থ পেয়েছেন এক ব্যাগ রত্ন বিক্রি করে, যা নাকি এক প্রবীণ দাদী-খালার উপহার। তবে ওই খালা জানিয়েছেন, তিনি মনে করতে পারছেন না কে তাকে রত্নগুলো দিয়েছিলেন।
মাহিন্দার শ্যালক নিশান্থা বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষতির কারণ হয়েছেন। অন্যদিকে মাহিন্দার ভাই ও সাবেক মন্ত্রী বাসিল রাজাপাকসের বিরুদ্ধেও অর্থপাচারের মামলা চলছে।
সূত্র: ডেইলি মিরর শ্রীলঙ্কা
আপনার মতামত লিখুন :