সুপারস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’, ‘বরবাদ’, ‘তাণ্ডব’র বিজিএমগুলো (ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক) দর্শকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিল। ছবিগুলোর প্রতি দৃশ্যে বিজিএম ছিল যেন এক ভিন্ন সংযোজন, যা ছবিগুলোতে সফল কিংবা দর্শকদের মাঝে আবেগ-উচ্ছ্বাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। আর এই কাজগুলো করেছিলেন সংগীত পরিচালক আরাফাত মহসীন নিধি।
এই মিউজিশিয়ান আবারও থাকছেন শাকিবের আসন্ন রোজার ঈদের ছবিতে। নাম চূড়ান্ত না হওয়া এ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে যুক্ত হলেন সময়ের অন্যতম মেধাবী এই সংগীত পরিচালক। মঙ্গলবার ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড প্রযোজিত এবং আবু হায়াত মাহমুদ পরিচালিত এ ছবিতে নিধি চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এ সময় নিধিসহ আরও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক শিরিন সুলতানা, আবু হায়াত মাহমুদ।
নিধি এই সময়ে বাংলাদেশের ব্যস্ত সংগীত পরিচালক। ২০১৫ সালে ‘আইসক্রিম’ ছবির মাধ্যমে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন। এরপর ‘ইতি তোমারই ঢাকা’, ‘দামাল’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘তুফান’, ‘বরবাদ’, ‘ইনসাফ’, ‘তাণ্ডব’ ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর করেছিলেন। পাশাপাশি বহু ওয়েব ও টিভিসিতে কাজ করেছেন।
নিধি জানান, সিনেমা নিয়ে বেশি কাজ করেন, আর সেখানে শাকিব খানের নতুন সিনেমায় থাকতে পারাটাকে বড় অর্জন মনে হয় তার।
আরাফাত মহসীন নিধি বলেন, নতুন এই ছবির গল্প শুনেছি, এককথায় দুর্দান্ত। কিছু ক্যারেক্টারের আলাদা সাউন্ড থিম থাকবে। যে সময়ের গল্প, তখন আমাদের দেশে রক গানের প্রচলন ছিল। সেটাও মাথায় রেখেছি। এ ছবির মিউজিক ডিজাইনটা শুনলে দর্শক বুঝবে টাইমের মধ্যে আছি।
তিনি বলেন, পিরিয়ডটা আগের হলেও গল্পে নতুনত্ব আছে। দর্শকদের কাছে একেবারে নতুন এবং ফ্রেশ মনে হবে। আমি চেষ্টা করবো শাকিব ভাইয়াকে নতুন মিউজিকের মাধ্যমে দর্শকদের কাছে পরিচয় করাতে। তাছাড়া, হায়াত ভাই যেহেতু লার্জার দেন লাইফ ফিল্ম বানাচ্ছেন, আমিও মিউজিক বা সাউন্ড তেমনকিছু দর্শকদের উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব।
আবু হায়াত মাহমুদ বলেন, নিধির মধ্যে নতুন কাজের তৃপ্তির চেয়ে কিছু তৈরি করার ক্ষুধা আছে। তার কাজগুলো সবসময় আলাদা লাগে। নিয়মিত তার সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর নিয়ে আলাপ হচ্ছে। সে পরীক্ষিত, আশা করছি আবারও চ্যালেঞ্জে জয়ী হবে।
পরিচালক বলেন, আগামী সপ্তাহে শাকিব খানের ফার্স্টলুক পোস্টার নয়, আমরা সিনেমার ফার্স্টলুক পোস্টার প্রকাশ করব যেটার মাধ্যমে সিনেমার নাম ঘোষণা করা হবে।
গেল মাসে নাম চূড়ান্ত না হওয়া এই সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শাকিব খান। তারপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, সিনেমাটি ঢাকার নব্বই দশকের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কালা জাহাঙ্গীর-এর জীবনী নিয়ে! এমন খবর ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে জানিয়েছেন পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ এবং প্রযোজক শিরিন সুলতানা।
কদিন আগে এক লিখিত বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরে শাকিবকে নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া সিনেমাটি কালা জাহাঙ্গীরের জীবনী নির্ভর নয়। এমনকি আমরা যে সিনেমাটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি সেটি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জীবনী নির্ভর নয়। গুলিস্তান টু গুলশান সব ধরনের দর্শকের উপভোগের কথা মাথায় রেখে আমরা লার্জার দ্যান লাইফ স্কেলে সিনেমাটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি।
এটি ৯০ দশকের ঢাকাকে কেন্দ্র করে একটি গল্প, যেখানে ক্রাইম, লাভ-অ্যাকশন-ইমোশন, ফ্যামিলি ড্রামা সবকিছুই থাকবে। আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, আমাদের অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট ব্যতীত অন্য কোথাও থেকে পাওয়া তথ্যের উপর আপনারা বিশ্বাস করে বিভ্রান্ত হবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :