অস্থির সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরলেও পেঁয়াজের ঝাঁজে আবারও নাজেহাল ক্রেতারা। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ফলে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বাজারে। ক্রেতারা অভিযোগ, বাজার উঠানামার চক্করে সংসার খরচ চালাতে খেতে হচ্ছে হিমশিম।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। আর প্রতি কেজি দেশি পাবনা জাতের পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৫২ এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩২ টাকায়।
একই দিন খুচরা দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল প্রতি কেজি ১২০ টাকা। আর প্রতি কেজি দেশি পাবনা জাতের পেঁয়াজ ১৬০ এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
এদিকে এর আগে গত সপ্তাহে একই বাজারের পাইকারি দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আর প্রতি কেজি দেশি পাবনা জাতের পেঁয়াজ ১১৬ থেকে ১২০ এবং ফরিদপুরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়।
অপরদিকে খুচরা দোকানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা, দেশি পাবনা ১৩০ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজের দাম ছিল ১২০ টাকা।
বিক্রেতাদের দাবি, দেশি পেঁয়াজের সংকট থাকায় দাম বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজেরও।
আরিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, “কারওয়ান বাজারে দাম কম পাবো বলে এসেছি। কিন্তু এখানে এসেও দাম কম নেই। রিকশা ভাড়া দিয়ে আসাই লোকসান হলো।”
শেখর নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “কিছুদিন আগে সবজির দাম বেশি ছিল। এখন যদি সবজির দাম কমলো। তারপরে বেড়ে গেল পেঁয়াজের দাম। একটা বাড়ছে তো আরেকটা কম। সংসার চালাতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে।”
কামরুজ্জামান নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “একেক দোকানে একেক দাম। এই জন্য বাজার ঘুরতে হচ্ছে বেশি। তবে ভ্যাবাচেকাও খেতে হচ্ছে।”
পেঁয়াজ বিক্রেতা মানিক বলেন, “দেশি পেঁয়াজ শেষের পথে। তাই দাম বাড়তেছে। এখন আর কমবে না। ভারতীয় পেঁয়াজ সরবরাহ ভালো। চাহিদা বেশি থাকায় এটাও দামও বেড়েছে।”
সজীব নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “দেশি পেঁয়াজ আর কৃষকের ঘরে নেই। নতুন পেঁয়াজ রোপণ শুরু হয়েছে। তাই দাম বাড়তেছে। সামনে বলা যাচ্ছে না বাজার কি হবে!”
আপনার মতামত লিখুন :