আপনারা মনে করতে পারেন, ঈদ ও পুজা উদযাপন করতে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে শ্রীমঙ্গলের রেলস্টেশনে, এ ধরনের কোন দৃশ্য নয়। ট্রেনের ছাদে এবং ইঞ্জিনের উপরে বিনা টিকিটের যাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্য মৌলভীবাজারে শ্রীমঙ্গলে রেলওয়ে স্টেশনে চোখে পড়ে। পর্যটন এলাকা হওয়ায় শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে।তেমনই অন্যদিকে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলছে। রেলওয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিনই যাত্রীরা উঠছেন ট্রেনের ছাদে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মৌলভীবাজারের পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন বর্তমানে এক অব্যবস্থাপনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
প্রশাসনের অবহেলার কারণে দেখা যায়,যাত্রীরা দৌড়াচ্ছে,ঘুমোচ্ছে,বসে আছে,বাচ্চাদেরসহ। এগুলো দেখার জন্য তো যথেষ্ট লোকবল রয়েছে, কিন্তু লোকবলের কাজটা সেভাবে হচ্ছে না। যাত্রীকে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে।’জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠেছে হাজারো মানুষ। তিন তরুণ মিলে একজনের ভিডিও করছিলেন। এমনকি নারী-শিশুদেরও ট্রেনের ছাদে হুমড়ি খেয়ে উঠতে দেখা গেছে। ট্রেনের ছাদে ভ্রমণে বাধা থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা স্টেশন কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। তবে অনেকেই ট্রেনের ছাদে ঝুঁকি নিয়ে চড়েন। ঝুঁকি থাকলেও এটাই বাস্তবতা। এতে মারাত্মক দুর্ঘটনা এমনকি প্রাণহানি ঘটতে পারে। কিন্তু রেল ব্যবস্থাপনার এই গুরুতর ত্রুটি একদিকে যেমন রাজস্ব ক্ষতি করছে।
এ বিষয়ে ট্রেনের ইঞ্জিন চালককে (ড্রাইভার) প্রশ্ন করা হলে তিনি বিস্ময়কর উত্তর দেন। তিনি দাবি করেন, ট্রেন নাকি ‘আপনা আপনি চলে’ এবং এ বিষয়ে তিনি `কিছুই জানেন না`।
সাধারণ যাত্রীরা জানান প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে টিকিট না পেয়ে শত শত যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে, যা নিয়মিত দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। অবহেলা না থাকলে তো কেউ ছাদে কেন এমনি এমনি কেউ বসে আছেন? বিভিন্ন শ্রেণির মানুষগুলো যাতায়াত করে। অনেক সময় ট্রেনের ছাদের উপরে অনেক লোক থাকে। এগুলা রেলওয়ের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এরা দেখেও না দেখার ভান করে। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনেও যেনো অভিযোগের শেষ নেই। শুধু যাত্রী নয়, কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য ট্রেনের ইঞ্জিনে উঠানো হচ্ছে, যেখানে খোদ ট্রেনের ড্রাইভার ও তার সহকারীরাও সাহায্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে রেলওয়ে থানা, অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলাম তালুকদার বলেন"আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে ট্রেনের ছাদে কোনো লোক ভ্রমণ করতে পারবে না। তবে ইদানিং হাইওয়ে রোডের অবস্থা মানে ভাঙা থাকার কারণে অনেক সময় গাড়িতে যেতে সময় লাগে। এজন্য ট্রেনে যাত্রীদের ভিড়। অনেক লোকই প্রারম্ভিক স্টেশন
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. সাখাওয়াত হোসেন স্বীকার করেন তিনি বলেন ট্রেনের উপরে যাত্রী আমাদের একেবারেই প্রায় শূন্য বলা যায়। অনেক সময় অনেক টোকাই যারা আছে তারা ছাদে উঠে যায়। এদেরকে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী পুলিশ সবসময়ই তাদেরকে ছাদ থেকে নামানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং তাদের প্রতি আইনগত ব্যবস্থা। কিছুদিন আগে ছাদ থেকে নামিয়ে অনেক জিআরপি থানা এবং নিরাপত্তা বাহিনী জরিমানা সহ মামলা প্রদান করেন।"

আপনার মতামত লিখুন :