মৌলভীবাজার ক্রস বিসায় লন্ডন পাঠানোর নামে ভুয়া জাল কগজ পত্র দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্নসাৎ করছে বিভিন্ন প্রতারক চক্র। বৈধ কাগজ পত্র না থাকার পরও প্রশাসনের নাকের ডগার উপর এই ধরনের প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারক চক্র। মো: হেলাল আহমদ(৩৬) ও তার স্ত্রীর ২৮ লাখ ৫২ হাজার টাকা আত্নসাৎ অভিযোগ উঠেছে মোছা: জোনাকি আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল ছালেকের উপর। এছাড়াও অনেক পরিবার ভিটে বাড়ি বিক্রি করে নি:স্ব হয়ে পড়েছেন। এব্যাপারে মো: হেলাল আহমদ(৩৬) বাদী হয়ে মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসন আইন ২০১৩ এর ৩১(ক)(খ)/ ৩৩/৩৬/৪২০/৪০৬/১০৯ ধারায় তাদের উপর প্রতারনার মামালা করেছেন। মামলা নং- সিআর ৭৭৪/২০২৫ ইং।
অভিযোগে জানাযায়, মৌলভীবাজার আল আসকা ট্রেভেলস এর মাধ্যমে সদরের আনিকেলীবড় এলাকার মো: হেলাল আহমদের স্ত্রী সন্তান সহ তাকে ক্রস বিসা দিয়ে লন্ডন নেওয়ার জন্য চুক্তি পত্রের মাধ্যমে ১৯ সেপ্টেম্বর ২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ২৮ লাখ টাকা নেন। পরে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে একটি ভুয়া ক্রস লেটার দিয়ে তাদের পাসপোর্ট জমা দিতে বলে। কিন্তু তাদের দেওয়া কাগজ পত্র, ডকুমেন্ট অনলাইনের মাধ্যমে ভূয়া, জাল বিসা ধরা পড়ে। বিষয়টি সন্দেহ হলে মোছা: জোনাকি আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল ছালেক কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। পরবর্তীতে ভোক্তভোগীরা তাদের টাকা ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময় নেন।
পরবর্তীত অভিযুক্ত মোছা: জোনাকি আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল ছালেক তাদেরে দীর্ঘ দিন টালবাহানা করে ফেরত না দেওয়ায় গত ৩ আগষ্ট শাহমোস্তফা রোডে তাদের ট্রেভেলসে গিয়ে টাকা চাওয়ায় তাদেরে প্রাণে হত্যা করার হুমকি ধামকি দিতে থাকে। পরে খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী মো: লিটন মিয়া কেয়ারহোমের জন্য ৩ টি ক্রস পারমিট বিসা সিলেট জেলার বিশ্বানাথ উপজেলার সাহেদ আহমেদের সাথে চুক্তি হয়। সায়েদ আহমদ আনিকেলীবুদা কালিয়ার গাঁও আলসা ট্রাভেলস মৌলভীবাজারের সাথে সর্ব মোট ৫৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা চুক্তির মাধ্যমে গ্রহন করেন। পরবর্তীতে বিসা দিতে না পারায় চুক্তিনামার মাধ্যমে টাকা ফেরৎ করেন। কিন্তু অভিযোগ আলসা ট্রাভেলস এর স্বত্তাধীকারী মোছা: জোনাকি আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল ছালেক যাদের টাকা নিয়েছেন তাদরে ফেরৎ দেননি।
১২ নং গিয়াস নগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিন মাসুদ বলেন, রানু মেম্বার, আশিক সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ চেষ্টা করে একটি সিন্ধান্ত হলেও তা কর্যকর করেনি আলসা ট্রাভেলস এর স্বত্তাধীকারী মোছা: জোনাকি আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল ছালেক। তারা অনেকের সাথে প্রতারনা করে নি:স্ব করে দিয়েছে। এলাকার সোহেল মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, মকবুর হোসেন, হাজী সাদিকুর রহমান, মো: বেলাল, আব্দুল সালাম, হাজী মো: ইযাবর মিয়া, আব্দুল মজিদ বলেন, আলসা ট্রাভেলস এর স্বত্তাধীকারী কোটি টাকা আত্নসাৎ করে। মানুষের টাকা তো দেয়নি উল্টো ভড়াটে বাহিনী দ্বারা মৌলভীবাজার লেক ভিউ হাসপাতালে হত্যার চেষ্টা করে।
ভোক্তভোগী চামেলী আক্তার চৌধুরী বলেন, আমি কলেজে অনার্স লেখা পড়া অবস্থায় বিয়ের পর আমরা স্বামী সিন্ধান্ত নেই লন্ডন যাওয়ার। এই উদ্দেশ্যে আল আসকা ট্রেভেলস এর স্বত্তাধীকারী মোছা: জোনাকি আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল ছালেক ধাপে ধাপে জমি বিক্র করে ২৮ লাখ ৫০ হাজারের অধিক টাকা দেই। পরে ক্রস বিসার ভুয়া জাল কাগজ পত্র দেয়। এগুলো প্রমানিত হলে টাকা ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে এখন তার ভাড়াটে সান্ত্রসী দিয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করছে। আর এই বিষয় নিয়ে শ্বশুর বাড়ির সাথে আমার মনোমালিন্য চলছে। সংসার ভাংঙ্গার উপক্রম। এব্যাপারে অভিযুক্ত মোছা: জোনাকি আক্তার ও তার স্বামী আব্দুল ছালেকের মোবাইল ফোনে কল করলে ডাইভাড অবশন লাগানো পাওয়া যায়। এব্যাপারে মৌলভীবাজার থানার এসআই আশরাফুল আলম চৌধুরী বলেন, আমরা অভিযুক্ত মোছা: জোনাকি আক্তারকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্দপ করি। তার স্বামী আব্দুল ছালেক পালাতক রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :