বারহাট্টায় সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আনা বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ী-থ্রিপস ভর্তি কাভার্ডভ্যান আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাঁকুড়াবাজারে ওই কাভার্ড ভ্যানটিকে আটক করে স্থানীয় লোকজন।
এসময় কাভার্ড ভ্যানের চালক ইব্রাহিম (২৫) ও সহকারী সাব্বিরকে (২৭) আটক করা হয়। তাদের বাড়ি গাজীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকায়।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও আটক চালকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের মধ্যনগর সীমান্ত এলাকা থেকে কাভার্ড ভ্যানটি ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিস ভর্তি করে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে বারহাট্টা উপজেলার কাঁকুড়া এলাকার একটি গাছের সাথে ধাক্কা লাগে কাভার্ড ভ্যানটি। এতে স্থানীয় লোকজন এটি আটকে ভেতরে কি আছে জানতে চায়। তাৎক্ষণিক সঠিক জবাব দিতে না পারায় লোকজন কাভার্ড ভ্যানটি খুলে ভেতরে চোরাচালানের পণ্য দেখতে পায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় এর চালক ও সহকারীকেও আটক করে। থানায় নিয়ে কাভার্ড ভ্যানটি খুলে এতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ী ও থ্রিপিস দেখতে পায় পুলিশ।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত (বিকাল পৌনে তিনটা) মালামালের গুননা শেষ হয়নি।
থানায় আটক চালক ইব্রাহিম বলেন, ভোরে সীমান্ত এলাকা থেকে পণ্যগুলো নিয়ে রওনা হই। সব জায়গায় আমাদের সহযোগী রয়েছে। তারা পথ দেখিয়ে দেয়। সহযোগীদের দেখোনো পথে বারহাট্টার কাঁকড়া এলাকায় এসে কাভার্ড ভ্যানটি একটি গাছে ধাক্কা লাগে। এতেই এলাকাবাসী সন্দেহ করে এটি আটক করে। চার-পাঁচ দিন ধরে ঘুম নেই। ফলে রাস্তায় গাড়ি চলন্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সেকারণেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লাগে।
বারহাট্টা উপজেলার সাংস্কৃতিক কর্মী আজিজুল হক ফারুক বলেন, এরআগেও বেশ কয়েকবার চোরাচালানের মালামাল ভর্তি গাড়ি আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। বারবার এলাকার লোকজনই চোরাচালানের পণ্য আটক করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেন এসব তথ্য পায় না?
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হাসান বলেন, কাভার্ড ভ্যানটি থানায় এনে পণ্যগুলো গননা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় চালক ও সহকারীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :