এবার এইচএসসি পরীক্ষায় নেত্রকোনা জেলায় ৪টি কলেজে কোন শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। আরেকটি কলেজ থেকে কোন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়নি।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- কেন্দুয়া উপজেলার গোপালপুর মডেল কলেজ, জনতা আদর্শ কলেজ, গড়াডোবা আব্দুল হামিদ স্কুল এন্ড কলেজ, সদর উপজেলার ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও লোক সংস্থা এবং পূর্বধলা উপজেলায় জোবাইদা জহোরা উদ্দিন সরকার মহিলা কলেজ।
এরমধ্যে গোপালপুর মডেল কলেজ থেকে এবার ১২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই ফেল করে। জনতা আদর্শ কলেজ থেকে ৯ জন অংশ নিয়ে সবাই ফেল করে।
সদর উপজেলার ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও লোক সংস্থা থেকে ২ জন ও পূর্বধলা উপজেলায় জোবাইদা জহোরা উদ্দিন সরকার মহিলা কলেজ থেকে ৩ জন অংশ নিয়ে কেউ পাশ করেনি।
এদিকে কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা আব্দুল হামিদ স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এবার কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
গোপালপুর মডেল কলেজের অধ্যক্ষ সুজিত কামিত্ম কর বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী না। অনেকেই আবার গার্মেন্টে চাকরিতে চলে গেছে। এদিকে কলেজ এমপিওভুক্ত না হওয়ায় খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে কলেজ চালাতে হয়। এতে পড়াশোনা ব্যহত হয়।
জনতা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ তাজিম উদ্দিন ফকির বলেন, এবার আমাদের কলেজ থেকে ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। সবাই ফেল করেছে। গতবছর ভালো রেজাল্ট করেছিলো, এবারই শুধু খারাপ হয়েছে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শামীমা ইয়াসমীন বলেন, যে চারটি কলেজে পাসের হার শূন্য রয়েছে সেসব কলেজের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবার উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৫১ দশমিক ৫৪। এর মধ্যে নেত্রকোনা জেলায় পাশের হার ৪৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :