ঢাকা শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

তিন বছরে ত্রিশ বছরের অগ্রগতি, গণমানুষের কণ্ঠস্বর এখন কালবেলা

মো.ওমর সিদ্দিক রবিন, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

তিন বছরে ত্রিশ বছরের অগ্রগতি, গণমানুষের কণ্ঠস্বর এখন কালবেলা

ছবি বর্তমান বাংলাদেশ

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জে উদযাপিত হয়েছে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর হলরুমে আলোচনা সভা, অতিথিদের বক্তব্য, কেক কাটা আর সাংবাদিকতার নানা গল্পে মুখর হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানস্থল। যেন ছোট্ট কিশোরগঞ্জেই এক বৃহৎ সাংবাদিক সমাজের মিলনমেলা। সাংবাদিক, রাজনীতিক, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষে মুখর হয়ে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ।

জেলা পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক মু. আ. লতিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন দৈনিক কালবেলা’র জেলা প্রতিনিধি শরফ উদ্দিন জীবন। শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন দৈনিক দিনকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আবু জাফর ছালেহ মোহাম্মদ বাবুল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক কালবেলা’র কটিয়াদী প্রতিনিধি বদরুল আলম নাঈম।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতে ইসলামী’র আমীর অধ্যাপক মোঃ রমজান আলী, করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সিদ্দিক উল্লাহ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সুমন এবং জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল হক দিদার।

সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার প্রতিনিধি মোস্তফা কামাল, সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার নূর মোহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মাবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার আশরাফুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রামের প্রতিনিধি শামসুল আলম সেলিম, বাংলা টিভির প্রতিনিধি মনোয়ার হোসাইন রনি, দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিনিধি ও সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন, নিফ আইটি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মোবারক হোসেন, এখন টেলিভিশনের প্রতিনিধি মশিউর কায়েস, চ্যানেল আই ও বাসস-এর প্রতিনিধি এসকে রাসেলসহ আরও অনেকে।

কালবেলা পত্রিকা সম্পর্কে বক্তারা বলেন, তিন বছরের পথচলায় দৈনিক কালবেলা এখন দেশের অন্যতম আস্থাশীল ও পাঠকপ্রিয় একটি পত্রিকা। সত্যের অনুসন্ধান, সাহসী সাংবাদিকতা আর দায়িত্বশীল মনোভাবের কারণে এই অল্প সময়ে যে জায়গায় পৌঁছেছে, তা সত্যিই বিরল। তিন বছরে কালবেলা যে অবস্থানে এসেছে, তা আসলে ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার প্রতিফলন। বাংলাদেশের গণমাধ্যম জগতে কালবেলা এখন একটি উজ্জ্বল নাম। কালবেলা যে দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করেছে, তা অনেক পত্রিকার পক্ষে সম্ভব হয়নি। সত্য, সাহস আর সৃজনশীলতায় কালবেলা পাঠকের আস্থা অর্জন করেছে। অনলাইন, প্রিন্ট ও ডিজিটাল—তিনটি প্ল্যাটফর্মেই কালবেলা এখন সমান জনপ্রিয়। সংবাদ প্রকাশে দ্রুততা, নির্ভুলতা ও নিরপেক্ষতা কালবেলাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। কালবেলা এখন সমাজের দর্পণ। সত্য, সাহস ও সৌন্দর্যের মেলবন্ধনে এটি হয়ে উঠেছে দেশের গণমাধ্যম জগতের এক অনন্য নাম। সাংবাদিকতার মান বজায় রেখে কালবেলা দেখিয়েছে, কীভাবে একটি সংবাদপত্র সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিটি পাতায় আছে সৃজনশীলতা, দায়িত্বশীলতা ও পাঠকের প্রতি সম্মান।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তারা আরও বলেন, সাংবাদিকদের পেশা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। সত্য প্রকাশ করলেই কেউ না কেউ বিরূপ হয়, আক্রমণের শিকার হতে হয়। তারপরও সাংবাদিকরা থেমে থাকেন না—এই সাহসটাই সাংবাদিকতার আসল শক্তি। আজকের অধিকাংশ সাংবাদিক পরিশ্রম করেও কোনো সম্মানি পান না। কিন্তু যদি শুনেন কোথাও দুর্ঘটনা ঘটেছে, তখন তারা কোনো দ্বিধা ছাড়াই ছুটে যান। তাদের এই দায়িত্ববোধই সাংবাদিকতার মূল প্রাণ। সাংবাদিকতা এমন এক পেশা যেখানে দায়িত্ববোধ না থাকলে টিকে থাকা যায় না। সাংবাদিকদের দক্ষতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ ও তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। যেসব পত্রিকা ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন করে না, তাদের সরকারি বিজ্ঞাপন দেওয়া উচিত নয়। মফস্বল সাংবাদিকতায় পেশা আর নেশা এক না হলে কেউ থাকতে পারে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সত্য তুলে ধরতে হয়। কারণ সাংবাদিকতা কেবল কাজ নয়, এটি এক প্রতিশ্রুতি। স্বাধীন সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে হলে সাংবাদিকদের আর্থিক নিশ্চয়তা অত্যন্ত জরুরি। তাদের ন্যায্য সম্মান, প্রাপ্য সম্মানি ও স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

আলোচনা শেষে সকল অতিথিকে নিয়ে কেক কেটে দৈনিক কালবেলা পত্রিকার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দঘন পর্ব সম্পন্ন হয়।

উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এটি এন বাংলার জেলা প্রতিনিধি সাইফুল মালেক চৌধুরী, জিটিভির প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান চৌধুরী সোহেল, এটি এন নিউজ ও দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি শফিক আদনান, প্রথম আলোর প্রতিনিধি তাফসিলুল আজিজ, দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি মাজহার মান্না, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আলী মুজতবা তাজবীর, চ্যানেল ২৪ এর প্রতিনিধি খায়রুল আলম ফয়সাল, মাই টিভির প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাশ, হাওর টাইমস পত্রিকার সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি সাজন আহমেদ পাপন, আনন্দ টিভির প্রতিনিধি কাউসার আহমেদ টিটু, দেশ টিভির প্রতিনিধি তোফায়েল আহমেদ তুষার, দৈনিক নতুন সময়ের প্রতিনিধি এম এ আজিজ, স্বদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি আলী রেজা সুমন, দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের প্রতিনিধি মোঃ ফারুকুজ্জামান, দৈনিক বাংলাদেশ কণ্ঠের প্রতিনিধি শফিক কবির, গ্লোবাল টেলিভিশনের প্রতিনিধি ফয়জুল ইসলাম পিংকু, চ্যানেল এস ও দৈনিক রুপালি বাংলাদেশের প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম রাজন, এনটিভি অনলাইন (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর) প্রতিনিধি আদি ইসলাম রাকিব, ঢাকা পোস্টের প্রতিনিধি এনামুল হক হৃদয়, দৈনিক সকালবেলা’র প্রতিনিধি মোঃ পলাশ, ভিওডি বাংলার প্রতিনিধি ওমর ফারুক রবিন, সময়ের কন্ঠস্বরের প্রতিনিধি সাব্বির হোসেন, বাংলা এডিশনের প্রতিনিধি রুবেল হোসাইন, দৈনিক দিক দিগন্তের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান শাহীন, দৈনিক কালবেলার তাড়াইল উপজেলা প্রতিনিধি মুকুট রঞ্জন দাস মধু, বাজিতপুর উপজেলা প্রতিনিধি লিয়াকত আলী, শতাব্দীর কণ্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ছোটন কবিরসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!