এনসিপির যুব উইং জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক সৈয়দ আবু ওয়াহিদ অনি এবং জেলা কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব মিরাজুল ইসলাম হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসলাম হালদারকে ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও, পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে তিনি আওয়ামী লীগপন্থী বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি অভিবাবক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল কে। এ মামলার অন্য আসামিরা  হলেন শেখ পরিবার মনোনিত বটিয়াঘাটার আলোচিত চেয়ারম্যান আসলাম হালদারসহ কয়েকজন। তারা হলেন পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার মোঃ মিন্টুর ছেলে মোঃ মারিফুল ইসলাম ইমন, বিকে মেইন রোড এলাকার মৃত মকবুল শেখের পুত্র আব্দুস সালাম@ডাবলু(২৯), বটিয়াঘাটার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আসলাম ও মোঃ ফজলুর রহমান গাজীসহ অজ্ঞাত কয়েকজন।
যুবশক্তি(এনসিপি) এর কেন্দ্রীয় সংগঠক  সৈয়দ আবু ওয়াহিদ অনি জানান,  আসামীরা এলাকার খারাপ প্রকৃতির ব্যক্তি। আসামীরা বিভিন্ন সময় খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থান হতে ছিনতাই করে এবং তারা আওয়ামীলীগ এর সন্ত্রাসী প্রকৃতির। আসামীরা গত কয়েকদিন যাবত অবৈধ মেলা পরিচালনা করার কারণে আমি সহ উপরে বর্ণিত সাক্ষীগণ তাদেরকে অবৈধ মেলা করতে নিষেধ করলে তারা আমাদের কথার কোন কর্ণপাত না করে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছিল। শনিবার শান্তিধাম মোড়ে পাঁকা রাস্তার উপর দেখা হলে তারা স্থানীয় আওয়ামীলীগ এর সন্ত্রাসীদেরকে সাথে নিয়ে আমাদের পথরোধ করতঃ আমার সহ উপরে বর্ণিত সাক্ষী সহ এনপিসির ও যুবশক্তির নেতাকর্মীদের হত্যার করার উদ্দেশ্যে ৩ ও ৪নং আসাশীদ্বয়ের হুকুমে আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। 
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জাতীয় যুবশক্তি খুলনা জেলা কমিটি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, পূর্বপরিকল্পিত এই হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এটি গণতান্ত্রিক অধিকার ও জননিরাপত্তার ওপর আঘাত। বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, হামলাকারীরা স্থানীয় সন্ত্রাসী চক্রের সদস্য এবং তারা পূর্বে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে তারা বারবার অপরাধ সংঘটিত করছে বলেও অভিযোগ করা হয়। জাতীয় যুবশক্তি খুলনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক শেখ মাহমুদুল হাসান মাহমুদ এক বিবৃতিতে বলেন, “এই হামলা শুধু আমাদের সংগঠনের ওপর নয়, খুলনার শান্তি-শৃঙ্খলা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপরও আঘাত।”

 
               
             
                                           
                                           
                                           
                                           
                                           
                                           
                                           
                                           
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
       
আপনার মতামত লিখুন :