মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার নোটিশ জারি করা হলেও বাস্তবে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। “যে লাউ সেই কদু”— অর্থাৎ আগের মতোই অবৈধ দখল চলছেই।
ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে শেরপুর বাজার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জমি দখল করে দোকানপাট ও স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। প্রশাসনের নোটিশ জারির পর কিছুদিন সরব থাকলেও পরে আবারও একই পরিস্থিতি ফিরে আসে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,এসব স্থাপনার কারণে পথচারীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ তৈরি হচ্ছে। ফুটপাত ও রাস্তার পাশ দখল হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে বাধ্য হয়ে মহাসড়কে হাঁটতে হচ্ছে। এতে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও সমস্যায় রয়েছেন।
একজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রশাসন উচ্ছেদ করে, আবার কিছুদিন পরই দোকান উঠে যায়। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ অভিযান শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। সওজ ও স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কঠোর উদ্যোগ না থাকায় অবৈধ দখলকারীরা নতুন করে সাহস পাচ্ছে।
এলাকাবাসী দ্রুত স্থায়ী উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে শেরপুর বাজারকে অবৈধ দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, প্রশাসন যদি কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে শেরপুর বাজারে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ আরও বাড়বে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ কায়সার হামিদ বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নোটিশ দেওয়ার পর কিছু কিছু আপত্তি আসে। পরে আমরা জরিপ করে চুড়ান্ত ভাবে সীমানা নির্ধারন করে দিয়েছি। খুব দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেড নিয়ে উচ্ছেদ অভিযানে যাবো।
আপনার মতামত লিখুন :