অবশেষে ফ্যাসিস্ট হাসিনার মন্ত্রী পরিষদ সদস্য এবং মহাজোটের অন্যতম সুবিধাভোগি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার দীর্ঘদিনের গোপন ইচ্ছা পূরণ হলো। তবে অবিভক্ত পার্টির প্রধান হওয়ার খায়েশ পুরণ হয়নি, হয়েছেন খন্ডিত এক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
যিনি স্বৈরশাসক এরশাদের গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রাম ৫ আসনের এমপি ছিলেন। সে সময় তার ক্ষমতার দাপটে নিঃপেষিত হয়েছেন হাঁটহাজারীর শত শত মানুষ ও অসংখ্য পরিবার। শুধু তাই নয়, এখনো মানুষ ভুলে যায়নি তার পোষা সন্ত্রাসী আবদুইয়া বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের কথা। এমনকি সম্পর্কে নিজের চাচাকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানানোর জন্য ৮৮ সালে নির্লজভাবে তার নির্দেশে দেশে প্রথম ভোট ডাকাতির ঘটনাও ভুলে যায়নি হাঁটহাজারির মানুষ। সেই ব্যরিস্টার আনিসই হলেন খন্ডিত জাপার চেয়ারম্যান। আর মহাসচিব হয়েছেন ২৪ এ শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানারে নির্বাচন করা এবিএম রহুল আমিন হাওলাদার। পাশাপাশি নবগঠিত কমিটিতে সিনিয়র কো চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ২০১৮ সালে সমঝোতার নির্বাচনে ঢাকা ৬ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ। যিনি গত বছর ৯ মার্চ রওশন এরশাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দশম সম্মেলনের মাধ্যমে আরেকটি খন্ডিত জাপার নির্বাহী চেয়ারম্যান হয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :