রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের পিলার থেকে বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মেট্রোরেল চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আড়াই ঘণ্টা পর বেলা তিনটায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়। আর পৌনে সাত ঘণ্টা পর সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় মতিঝিল থেকে শাহবাগ পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সন্ধ্যায় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে। অর্থাৎ দুর্ঘটনার প্রায় সাত ঘণ্টা পরও মতিঝিল-উত্তরা পুরো পথে মেট্রোরেল চালু করা সম্ভব হয়নি। এতে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন অফিস শেষে ঘরমুখী মানুষ।
এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফার্মগেটের খামারবাড়ি এলাকায় মেট্রোরেলের পিলারের বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে। সেটির নিচে চাপা পড়ে প্রাণ হারান আবুল কালাম নামের এক যুবক। আবুল কালামের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। মতিঝিলে একটি এক ট্রাভেল এজেন্সিতে কাজ করতেন।
এ ঘটনার পর সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বেলা তিনটার কিছু পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বলেন, মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেছে। বাকি অংশ চালু করতে একটু সময় লাগবে। কারণ, ক্রেন আসতে হবে। আবার দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য মেরামতের পর পরীক্ষা করতে হবে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়েছিল। এ কারণে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল ১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
মেট্রোরেল পরিচালনায় যুক্ত একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগেরবার দুর্ঘটনার সময় প্রায় ১১ ঘণ্টা লেগেছিল মেট্রোরেল সচল করতে। এবার কত সময় লাগে, তা বলা যাচ্ছে না।
মেট্রোরেলের লাইনের নিচে উড়ালপথের পিলারের সঙ্গে রাবারের বিয়ারিং প্যাড থাকে। ডিএমটিসিএল সূত্র জানিয়েছে, এগুলোর প্রতিটির ওজন আনুমানিক ৮০ কেজি। এসব বিয়ারিং প্যাড ছাড়া ট্রেন চালালে উড়ালপথ দেবে যাওয়া কিংবা স্থানচ্যুত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্যই দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :