মৌলভীবাজার শহর জুড়ে সরকারী বেসরকারী অসংখ্য সিসি ক্যামেরার ছড়াছড়ি। রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে শোভা পাচ্ছে ক্যামেরা গুলো। প্রতিনিয়ত চুরি,ডাকাতি খুন খাবারি হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা সচ্ছল না থাকায় একটার পর একটা খুন,চুরি, ছিনতাই, গাড়ী চুরির ঘটনা ঘটার পরও প্রশাসন রহস্য জনক কারনে এ ব্যাপারে নীরব ভুমিকা পালন করছে।
এরমধ্যে অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। নামে তাল পুকুর কাজে ঘটি ডুবেনা এমন অবস্থা। এক সময় ফলাও করে প্রচার করে শহরে সিসি ক্যামেরা লাগায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাধারন মানুষের মাঝে স্বস্তির নি:শ্বাস পড়েছিল। এইবার হয়তো অপরাধ কমবে। কিন্তু কোন চুরি, ছিনতাই, খুন খাবারি ঘটনার পর সিসি ক্যামেরা যাচাই করতে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন চিত্র। অকেজো সিসি ক্যামেরায় পাওয়া যায়না কোন তথ্য। ফলে প্রকৃত অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়,মৌলভীবাজার শহরের ব্যস্ততম সড়কের সিসি টিভি লাগানো খুঁটিগুলোতে এখন শুধুই ঝুলানো তারের জঞ্জাল, ধুলা নোংরায় ভরা তারে মাকড়সা বেঁধেছে বাসা, আছে দু-একটি সিসি টিভির নষ্ট অংশ। এক কথায় নাই সিসি ক্যামেরার অস্তিত্ব। এছাড়াও বিভিন্ন স্কুল কলেজের সামনেও বখাটেদের আড্ডা বেড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে যেভাবে আইঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হতে থাকবে।
সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুসুমবাগ,ডিসি অফিস, সরকারী কলেজ রোড,মহিলা কলেজ,চৌমুহনা,প্রেসক্লাব, বৈরিরপাড়,এস আর প্লাজা, ঢাকা বাস স্টেশন বিভিন্ন জায়গায় অধিকাংশ ক্যামেরাও অচল।
নগরবাসীরা অভিযোগ করে বলেন অনেক গুলো সিসি ক্যামেরা নষ্ট। সরকারি কাজে আসলে দেখা যায় নষ্ট। কিসের জন্য মৌলভীবাজারে সিসি ক্যামেরা লাগানো হলো। যদি নষ্ট থাকে তাহলে এগুলো লাগানোর কি প্রয়োজন।
মৌলভীবাজার শহরে চুরি -ডাকাতি, কিশোরগ্যাং এগুলো বেশি বাড়ছে। অনেক মানুষ আসে দূর্ঘটনার শিকার হয়ে।
মৌলভীবাজার শহরের ব্যবসায়ীরা জানান মৌলভীবাজারে খুন- খারাপি প্রতিনিয়ত ঘটছে। রুবেল মিয়া হত্যা হয়েছে। পুলিশ আক্রান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমরা দোষারোপ করতেছি না। তারা আক্রান্ত পরিশ্রম করার পর ও এখন পযন্ত কোনো আসামি কে সনাক্ত করতে পারি নাই। কিছু দিন আগে ও শমসেরনগর রোডে দূর্ঘটনা ঘটছে, তখন সরকারি ক্যামেরা যখন দেখাত গেছে তখন দেখা যায় নষ্ট।
মৌলভীবাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিন বকস বলেন, শহরের গুরুত্বপর্ন পয়েন্টে যদি সিসি ক্যামেরা থাকে তাহলে এই শহরের দুর্নীতি, চুরি -ডাকাতি অনেক কমে যাবে। আমাদের এটাই দাবী অকেজো সিসি ক্যামেরা গুলো যেনও ঠিক করে দেওয়া হয় বা ভালো করে লাগানো হলে দূর্ঘটনা আর ঘটবে না।
দি মৌলভীবাজার চেম্বার অফ কর্পাসেস ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি সৈয়দ মোজাম্মেল আলী শরীফ বলেন মৌলভীবাজারে আইন শৃঙ্খলার যে বর্তমান পরিস্থিতি তা খুবী অবনতি ঘটেছে। বর্তমানে অনেক ক্যামেরা নষ্ট করে যাওয়ার কারণে অনেক জায়গায় নাই। ওই জায়গায় গুলো খুঁজে বের করে ঠিক করতে হবে। তাহলে আমি মনে করি অপরাধ কিছু কমবে বা অপরাধ করে পার পাবে না।
সিসি ক্যামেরা বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), আসিফ মহিউদ্দীন বলেন মৌলভীবাজার শহরে ও সিসি ক্যামেরা ছিলও। যেকোনো ঘটনা কারণে অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয় নি আমার কথা বলেছি, দূততম সময়ের মধ্যে,সব জায়গায় ত সম্ভব না। যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সেগুলো তে সিসি ক্যামেরা ঠিক করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :