ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় পৃথক দুই ঘটনায় দোকানঘর ভাঙচুর
করে লুটপাট এবং বিরোধীয় জমিতে ঘর উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার সরকারি কলেজ ও বাশতলা এলাকায় এ ঘটনাগুলো ঘটে। ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার সকালে রাজাপুর উপজেলার বাঘরী বাঁশতলা গ্রামে মৃত এন্তাজ উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে লাল মিয়া হাওলাদার অভিযোগ করে জানান, শাহজাহানের ছেলে মোঃ মহিবুল্লাহ সহ কয়েকজন তার ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখলে নিয়ে কাঠের ঘর তুলে এবং কাঁটাতারের সিমানা দেয়। বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং লাঠিসোটা, দা, কুড়ালসহ দেশীয় অ স্ত্র দেখিয়ে ভ য়ভী তি ও খু নের হু মকি দেয়। অভিযোগের বিষয়ে মহিবুল্লাহ জানান, পৈত্রিক জমিতে ঘর উত্তোলন ও বেড়া দিয়ে সীমানা পিলার বসিয়ে তাদের ১১ শতাংশ জমি বুঝে নিয়েছেন। জমির সর্বশেষ মাঠ রেকর্ডও রয়েছে তাদের। কারও জমি দখল করা হয়নি।
অপর দিকে রাজাপুর সরকারি কলেজ এলাকায় শুক্রবার ভোর রাতে মৃত খলিলুর রহমান মোল্লার ছেলে প্রবাসী মোঃ হানিফ মোল্লার মালিকানাধীন দোকানঘর ভাঙচুর করে মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
প্রবাসীর স্ত্রী মনি আক্তার শুক্রবার সকালে রাজাপুর থানায় অভিযোগ করে জানান, রাজাপুর কলেজ এলাকার মৃত সেকেন্ডার আলীর ছেলে নুরুল হুদার নেতৃত্বে একদল লোক দোকানঘরটি ভেঙে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ ফুট পূর্ব দিকে সরিয়ে ফেলে এবং দোকানের ভিতরে থাকা মালামাল নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, দোকানঘরটি তাদের ক্রয়কৃত ও তফসিলভুক্ত জমির উপর অবস্থিত। তার স্বামী হানিফ মোল্লা ২০২৩ সালে জমি ক্রয় করে ২ শতাংশ জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ করেন এবং ভোগদখল করে আসছেন। অভিযুক্ত নুরুল হুদার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রাজাপুর থানার এসআই মিরাজুল ইসলাম জানান, দোকানঘর ভাঙচুরের ঘটনাটি তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। অপর জমি দখলের ঘটনায় কাজ বন্ধ করে উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :