ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

পানিবন্দি ২৫ পরিবার, নেই নিষ্কাশনের পথ

মামুনুর রশিদ, রাণীনগর

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম

পানিবন্দি ২৫ পরিবার, নেই নিষ্কাশনের পথ

ছবি বর্তমান বাংলাদেশ

নওগাঁর রাণীনগরে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২৫টি পরিবার। গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাতে উপজেলার চকাদিন মৃধাপাড়া (হটাৎপাড়া) গ্রামে এমন দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পানিবন্দি হয়ে পড়া পরিবারগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের মধ্যে ঢুকে পরেছে হাটু পানি। বাড়ির রান্না ঘরের চুলাও পানির নিচে। ঘরের খাট বা চকি ছাড়া বসার কোন জায়গা নেই। যেখানে পা ফেলছেন সেখানেই পানি। বাড়ি থেকে বের হতে হচ্ছে হাটুপানি দিয়ে। পানিবন্দি হয়ে পড়া পরিবারগুলো মধ্যে কেউ কষ্ট করে নিজের বাড়িতে আছেন, আবার কেউ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

রাশেদা বিবি নামে এক নারী বলেন, জামাই-মেয়ের সঙ্গে একই বাড়িতে বসবাস করি। কয়েক দিনের ভারীবৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। তিনি আরো বলেন, বাড়ির মধ্যে পানি টলমল করছে। ঘরের মেঝেতেও পানি। কোথায় থাকবো, কোথায় খাবার রান্না করবো। কোন উপায় নেই। বাধ্য হয়ে ছেলের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিয়ে আছি। আমাদের গ্রামের মধ্যে থেকে পানি বের হওয়া কোন পথ নেই। পানিবন্দি হয়ে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চকাদিন মৃধাপাড়া (হটাৎপাড়া) গ্রামে প্রায় ১৩০ ঘর মানুষের বসবাস। গ্রামে দু’পাশে ছোট ছোট দু’টি মাঠ রয়েছে। মাঠের ও গ্রামের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের কোন পথ নেই। মেইন সড়কের পাশে একটি ড্রেন ছিল তাও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে মাঠে এবং গ্রামে মধ্যে থেকে বন্যার পানি ও বৃষ্টির পানি বের হওয়া কোন পথ না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে গ্রামের ২০ থেকে ২৫টি পরিবার।

স্থানীয়দের অভিযোগ- গ্রামের মধ্যে ড্রেন এবং কালভার্টের অভাবে প্রতিবছর গ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে গ্রামের অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এমন দুর্ভোগ বছরের পর বছর ধরে পোহাতে হচ্ছে ওই গ্রামের মানুষকে। তবুও কোন নজর নেই কারো।

দ্রুত এই জনদুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন, কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানিয়েছে তারা।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ওই গ্রামের লোকজনের দুর্ভোগের কথা আমি শুনেছি। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হবে। আর পানি নিষ্কাশনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!