ঢাকা বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫

মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের প্রফেসর মুহাম্মদ আনিসুর রহমানের উদ্ভট আচরণের অভিযোগ

মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম

মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের প্রফেসর মুহাম্মদ আনিসুর রহমানের উদ্ভট আচরণের অভিযোগ

ছবি: বর্তমান বাংলাদেশ।

মৌলভীবাজার দি ফ্লাওয়ার‍‍`স কেজি এন্ড হাইস্কুলের
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে 
মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অশোভন আচরণ এবং অশালীন ভাষা ব্যবহার করে তাদের তুই বেয়াদব তুর চৌদ্দ গোষ্ঠী বেয়াদবসহ অশালীন খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় সরকারি কলেজের প্রফেসর মুহাম্মদ আনিসুর রহমানসহ তাঁর সাথে থাকা আরও কয়েকজন শিক্ষক মারমুখী হয়ে অভিভাবক সদস্যদের দিকে ধেয়ে আসেন এবং অভিভাবক সদস্যরা তাঁকে(প্রফেসর মুহাম্মদ আনিসুর রহমান)বলেন স্যার দেখুন এই রাস্তায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের গাড়ি ও এখন প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না আপনারা ও গাড়ি /রিকশা নিয়ে না গেলে ভালো হয় এই কথা বলার পর রেগে গিয়ে প্রফেসর মুহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন জেলা প্রশাসক তো আর এখানে অফিস করে না।অভিভাবক সদস্যরা বিনীত অনুরোধ করে বলেন স্যার আপনার সহযোগিতা চাচ্ছি কিন্তু স্যার সেটা মানতে নারাজি।তখন উপস্থিত অভিভাবকগণ এর প্রতিবাদ জানালে তাদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার এবং হুমকি দেওয়া হয়।

সোমবার (১৮ আগস্ট) জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে দেয়া দি ফ্লাওয়ার‍‍`স কেজি এন্ড হাইস্কুলের অভিভাবকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
দি ফ্লাওয়ার্স কে. জি এন্ড হাইস্কুলের অভিভাবকবৃন্দ বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে পথ চলাচলের স্বার্থে ও ঝুঁকিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে কোর্ট পয়েন্ট হতে ভিতরের রাস্তায় কোনো রকম যানবাহন যাতে প্রবেশ করতে না পারে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিগত কয়েকদিন পূর্বে বিদ্যালয়ের অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বৃষ্টির দিনে শিক্ষার্থীরা যখন কোর্ট পয়েন্ট হতে বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছিল, এমতাবস্থায় সরকারী মহিলা কলেজগামী একটি গাড়ি এমনভাবে রাস্তার কাঁদাযুক্ত পানি ছিটিয়ে যায় ফলে অভিভবাকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী কাঁদাযুক্ত নোংড়া পানিতে জামাকাপড় মারাত্মক ভাবে নষ্ট হয়ে যায়। এরূপ অবস্থা প্রায় সময় ঘটে থাকে। তাছাড়া স্কুল শুরুর সময়ে কখন যে কোন শিক্ষার্থী গাড়ি চাপা পড়ে তা বলা বাহুল্য।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ প্রধান শিক্ষক মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের সহিত উক্ত বিষয়টি নিয়ে উনার পরামর্শ চাইতে গেলে কলেজের অধ্যাপক জনাব আনিসুর রহমান ও জনাব মুস্তাফিজুর রহমানসহ কতিপয় শিক্ষক তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন যা মোটেও কাম্য নয়। উক্ত রাস্তা দিয়ে দি ফ্লাওয়ার্স কে. জি এন্ড হাইস্কুলে প্রায় ১২০০ ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের অভিভাবক, শিক্ষক এবং সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরাও উক্ত রাস্তাটি ব্যবহার করে।উপরোল্লিখিত বিষয় গুলো বিবেচনা করত: কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াতের পথ
নির্বিঘ্ন ও ঝুঁকিমুক্ত করার লক্ষ্যে সকাল ০৮:৩০ হতে ০৯:০০ টা ৩০ মিনিট এবং দুপুর ০১:৩৫ হতে ০২:০০ টা ২৫ মিনিট সময়ের জন্য কোর্ট পয়েন্ট হতে মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজ পর্যন্ত রাস্তায় সকল প্রকার যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের বরাবরে অভিযোগ করেন।

এ বিষয়ে দি ফ্লাওয়ার্স কে.জি এন্ড হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বিএনপি নেতা মতিন বক্স বলেন,দি ফ্লাওয়ারস কেজি এন্ড হাই স্কুল প্রতিদিন ৮০০ ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত এবং সাথে মহিলা কলেজের প্রায় হাজার তিনেক ছাত্রী। সবার নিরাপদ যাতায়াতের জন্যে রাস্তার মুখে বেরিকেড দিয়ে সামনের রাস্তা নিরাপদ করে সকলের জন্য হেঁটে যাওয়া ব্যবস্থা করা হয়। গত কয়েক দিন আগে ও ছোট একটি বাচ্চা গাড়ি চাপা দেয়।মহিলা কলেজের শিক্ষকরা এই সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ ইতিমধ্যে বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ প্রধান শিক্ষক মৌলভীবাজার সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মহোদয়ের সহিত উক্ত বিষয়টি নিয়ে উনার পরামর্শ চাইতে গেলে কলেজের অধ্যাপক জনাব আনিসুর রহমান ও জনাব মুস্তাফিজুর রহমানসহ কতিপয় শিক্ষক তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এমনকি মারমুখী হন।তখন উনারা বলেন আমরা বিসিএস ক্যাডার আমরা কেন হেঁটে যাবো।মতিন বক্স আরও বলেন,রাস্তা বন্ধ শুধু ৮.৩০ থেকে ৯ টা আর ছুটির সময় আদা ঘন্টা। প্রায়ই ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের গায়ে গাড়ি রিকশা লেগে যায়।এতে কোমলমতি শিশুসহ সকলের নিরাপদ যাতায়াতের জন্যে সবার সহযোগিতা চেয়েছি।আমার দৃষ্টি গোচর হয় মৌলভীবাজারের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা(পাতাকুঁড়ির দেশ)নামীয় পত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছে আমি ও আমাদের অভিভাবক সদস্যরা মিলে রাস্তায় মব সৃষ্টি করি আমি এই খবরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। রাস্তার মুখে বেরিকেড দিয়ে তাহাদের রাস্তা গতিরোধ করা হয়নি তাদের সহযোগিতা চাইতে গেলে অধ্যাপক জনাব আনিসুর রহমান রেগে গিয়ে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন।আমি এমন অসদাচরণের নিন্দা জানাচ্ছি এবং এর সুষ্ঠু সুবিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
 

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!