নরসিংদীর পলাশে ইউনিয়ন ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে যুবদল নেতার নেতৃত্বে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত তিনজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে । এছাড়া হামলাকারীরা একটি ডেকোরেটরের দোকান ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলেও জানা যায়। এতে এলাকারবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে গুলিবর্ষণের ২১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকালে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের আমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ,শনিবার বিকালে গজারিয়া ইউনিয়ন যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে নরসিংহার চর আমতলা বাজারে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পূর্বঘোষিত একটি নির্বাচনী প্রচারণার কর্মসূচি চলছিল। এসময় অতর্কিতভাবে উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মো. হুমায়ুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে ও গুলিবর্ষণ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে। এসময় তাদের হামলায় পনির হোসেন সহ তিনজন কর্মী আহত হয়। তারা পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে যুবদল নেতা হুমায়ুন মিয়া বলেন, আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রয়েছি। এ ঘটনায় আমি কোনোভাবেই জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ যুবদল নেতা হুমায়ুন মিয়া। জানতে চাইলে উপজেলা যুবদল নেতা মো. নাসির আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ড. আব্দুল মঈন খানের নির্দেশনায় ও পলাশ থানা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়ার পরিচালনায় নির্বাচনী প্রচারণার একটি মিছিল বের করলে অতর্কিতভাবে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে প্রথমেই মো. সোলাইমান হোসেন ও হাসিবুর রহমান রুবেল এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এরপর বাবু, নূর মোহাম্মদ, মিলন সরকারসহ অজ্ঞাত ৩০-৪০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকান ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। গজারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ রানারও অভিযোগ, “হাসিবুর রহমান রুবেল, এমএস সোলাইমান, আসলাম হোসেন বাবু, মিলন ও শাহীনসহ আরও অনেকে মুখোশ এবং হেলমেট মাথায় হামলায় অংশ নেয়। এসময় নেতাকর্মীদের মারধর করা সহ ডেকোরেটরের দোকানে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ও গুলিবর্ষণ করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করে শান্তিপূর্ণ মিছিলটি ভেঙে দেয়। এসময় ছাত্রদলের তিনজন নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়। এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, হামলা বা গুলিবর্ষণের ব্যাপারে থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয় নি। তবে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :