আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর–কাঁঠালিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এখন সর্বাধিক আলোচনায় রয়েছেন একজন প্রজ্ঞাবান, সংগঠক ও বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম।
জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ধারার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির তৃণমূলের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার করিমের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি শুধু রাজনীতিক নন, বরং একজন গবেষক, লেখক, মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠক হিসেবে জাতীয় অঙ্গনেও পরিচিত মুখ।
দলীয় অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের পরিচয়
রাজনীতিতে ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমের পথচলা শুরু হয় বিএনপির অঙ্গসংগঠন যুবদল থেকে। তিনি ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সদস্য, পরে যুক্তরাজ্য বিএনপি এবং জিয়া পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রবাসে অবস্থানকালে তিনি ছিলেন সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (যুক্তরাজ্য)-এর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং দীর্ঘ সময় তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান, যেখানে বিএনপির রাজনৈতিক চিন্তা, গবেষণা ও নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
শিক্ষা, সমাজসেবা ও মানবকল্যাণে অবদান: রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষা ও সমাজসেবায় ইঞ্জিনিয়ার করিমের ভূমিকা প্রশংসিত। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন:
সাতুরিয়া ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ
আলহাজ্জ্ব কে. এম. আবদুল করিম জামিয়া ইসলামিয়া ইয়াতিমখানা
আলহাজ্জ্ব কে. এম. আবদুল করিম বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসা
মোস্তফা হায়দার একাডেমি
মোসলেম আলী খান ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন
সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট
ডেমোক্রেসি রিসার্চ সেন্টার (DRC)
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তিনি শিক্ষা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, দরিদ্রদের সহায়তা ও সামাজিক পরিবর্তনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
গবেষণা ও চিন্তার রাজনীতি
একজন বিশ্লেষক ও লেখক হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমের রয়েছে বহু গবেষণামূলক গ্রন্থ ও নিবন্ধ। তাঁর লেখা বইগুলোর মধ্যে রয়েছে,
‘জিয়াউর রহমানের বহুদলীয় চিন্তা ও তারেক রহমানের ৩১ দফা’, ‘জুলাই বিপ্লব ও পরবর্তী রাজনীতি’, ‘আওয়ামী বাকশালিদের দুঃশাসনের খতিয়ান’, ‘বহুমাত্রিক জীবনানন্দ’ ইত্যাদি।
টেলিভিশনের টকশো ও কলাম লেখার মাধ্যমে তিনি বিএনপির নীতি, দর্শন ও যুক্তি তুলে ধরে জনমত গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
রাজনৈতিক লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম ইতোমধ্যে ২০০১, ২০০৬, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। তাঁর লক্ষ্য—
বিএনপির আদর্শ পুনরুজ্জীবন
৩১ দফা কর্মসূচির বাস্তবায়ন
তৃণমূল ঐক্য ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা
শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে জনআস্থা অর্জন
তিনি বলেন,
“ঝালকাঠি-১ আসনের মানুষ দেশপ্রেমিক ও পরিশ্রমী। যদি দল ও জনগণ আমাকে সুযোগ দেন, আমি দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ধানের শীষের পতাকা উঁচিয়ে এই আসনকে একটি উন্নত, শিক্ষিত ও গণতান্ত্রিক অঞ্চলে পরিণত করব ইনশা’আল্লাহ।”
মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
ঝালকাঠি-১ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ইঞ্জিনিয়ার করিমের নাম যেমন আলোচনায়, তেমনি সমর্থনও পাচ্ছেন তৃণমূল পর্যায়ে। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন—
“রাজনৈতিক পরিপক্বতা, সংগঠন দক্ষতা ও জনসম্পৃক্ততার দিক থেকে ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমই আমাদের আসনের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী।”
অন্যদিকে, বিএনপি এই আসনটি এখনো জোটগত সমন্বয়ের কারণে ফাঁকা রেখেছে। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও বিএনপির সমর্থন প্রত্যাশা করছেন। তবে তৃণমূল বিএনপি নেতাদের মতে, এ আসনে দলের ঐতিহ্য ও জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধারে ইঞ্জিনিয়ার করিমের মতো নেতার বিকল্প নেই।
ঝালকাঠি-১ আসন এখন বিএনপির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার ক্ষেত্র। দলের অভ্যন্তরীণ আলোচনায় ক্রমেই পরিষ্কার হচ্ছে—
ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম হচ্ছেন এমন এক প্রার্থী যিনি একযোগে সংগঠন, চিন্তা, নেতৃত্ব ও জনপ্রিয়তার সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
তৃণমূলের প্রত্যাশা,
“ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমের মতো নেতৃত্বই পারে ঝালকাঠি-১-এ বিএনপির পুনর্জাগরণ ঘটাতে।

আপনার মতামত লিখুন :