ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

জলঢাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙার অভিযোগ, উত্তপ্ত দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আসাদুজ্জামান জলঢাকা

আসাদুজ্জামান (জলঢাকা) নীলফামারী

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০৭:১৯ পিএম

জলঢাকায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙার অভিযোগ, উত্তপ্ত দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  আসাদুজ্জামান জলঢাকা

ছবি বর্তমান বাংলাদেশ

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের নেকবক্ত বাজারে অবস্থিত নেকবক্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজের নির্মাণাধীন বাউন্ডারী ওয়াল ভাঙার অভিযোগ উঠেছে নেকবক্ত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশ অস্থিতিশীল হওয়ার পাশাপাশি কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার সকালে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনায় বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল। ওই স্থানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত একটি ওয়াশ ব্লক ছিল, যা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, প্রায় ৫ হাত জায়গাজুড়ে থাকা ওই পরিত্যক্ত অংশটিকে তারা বাউন্ডারীর আওতায় এনে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ও নান্দনিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে চেয়েছে।

তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে কিছু কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীকে দিয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল ভাঙার অভিযোগ করেন নেকবক্ত স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করে যে ধরনের অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। আমরা বরং জায়গাটিকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ করতে চেয়েছিলাম।"

স্কুলের অফিস সহায়ক গোলাপ হোসেন জানান, "আমি কাজের সময় উপস্থিত ছিলাম। দেয়াল ভাঙতে বাঁধা দিলে ছাত্ররা আমাকে শাসিয়ে চলে যায়। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।"

এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লায়লা বেগম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, "আমাদের নির্মাণাধীন ওয়াশ ব্লকটি কৌশলে নিজেদের আওতায় আনার চেষ্টা করছে মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি ইতোমধ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং টিও স্যারকে জানানো হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তাঁরা।"

অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম আরও জানান, "অতীতে জায়গাটি আমরাই ব্যবহার করতাম। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় জায়গাটি ঘিরে ফেলা হয়েছে শুধু নিরাপত্তা ও পরিবেশগত উন্নয়নের জন্য। তবে প্রাথমিকের শিক্ষকদের আচরণ অনভিপ্রেত।"

স্থানীয়দের মতে, দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই জায়গা নিয়ে চলমান টানাপোড়েন শিক্ষার পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে। অভিভাবক মহল মনে করছে, প্রশাসনিক তদন্ত ও হস্তক্ষেপ ছাড়া এই সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ নেই। তাঁরা আশা প্রকাশ করেন, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে এই অনাকাঙ্ক্ষিত দ্বন্দ্বের অবসান ঘটবে এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দিয়ে রাজনীতি করা বন্ধ হবে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!