ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
১১ দিনে ১৪ জনের কারাদন্ড, ১৩ লাখ টাকার জাল ও ২ মণ ইলিশ জব্দ

বিষখালি নদীতে অভিযান পাহারা দিয়ে চলছে মা ইলিশ নিধন, রাতে বেশি বেপরোয়া জেলেরা, এক অভিযানেই ১৫টি কারেন্ট জাল জব্দ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম

বিষখালি নদীতে অভিযান পাহারা দিয়ে চলছে মা ইলিশ নিধন, রাতে বেশি বেপরোয়া জেলেরা, এক অভিযানেই ১৫টি কারেন্ট জাল জব্দ

ছবি বর্তমান বাংলাদেশ

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালি নদী অভিযান পাহারা দিয়ে চলছে মা ইলিশ নিধন। সবচেয়ে বেশি নিধন হচ্ছে উপজেলার দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষা বাখেরগঞ্জের নিয়ামতি মোহনায়। সেভানে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অফিসের যৌথ অভিযানে ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষার এক অভিযানেই ১৫টি কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। নৌ পুলিশের নিরবতায় এ মোহনায় সব সময় মাছ নিধন হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে, তবে নৌ পুলিশ বলছে, ট্রলার নষ্ট থাকার সুযোগে কিছু জাল নদীতে ফেলেছে জেলোরা।

নদী তীরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের অভিযানের ট্রলার ও স্পীডবোর্ড পাহারা দিয়ে দিনে ও রাতে সুযোগ বুঝে কারেন্ট জাল ফেলছে অসাদু জেলেরা। রাতে, ভোররাতে, সন্ধ্যার দিকে এর প্রবনতা বেশি লক্ষ করা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি জাল ফেলা হয় উপজেলার দক্ষিণ সীমান্ত ঘেঁষা বাখেরগঞ্জের নিয়ামতি মোহনায়। সেখানে শতাধিক জেলে নিয়মতি জাল ফেলছে।

নিয়ামতি নৌ পুলিশের এসআই শাহাজাদা জানান, ট্রলারের মেশিন নষ্ট হওয়ার সুযোগে কিছু জাল ফেলে ছিলো, তার জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে উপজেলার নাপিতের হাট, বাদুরতলা , উত্তরমপুর ও চল্লিশকাহনিয়া, পালট, বড়ইয়া এলাকা থেকে সন্ধ্যার পর ও ভোর রাতে অটো ও মোটর সাইকেলে বস্তা ও ব্যাগে ইলিশ উপজেলা শহরে সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেক পোষ্টের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত আরা মৌরি জানান, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে নদীতে অবৈধভাবে মাছ ধরার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দিন রাত দুটি টিমে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

উপডজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গৌতম মন্ডল জানান, প্রজননকালীন সময়ে কেউ যেন ইলিশ ধরতে না পারে, সে জন্য প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালানো হচ্ছে। ১১ দিনে ১৪ জনকে কারাদন্ড, ১৩ লাখ টাকার জাল ও প্রায় ২ মণ ইলিশ জব্দ করে এতিমখানায় খাওয়ানো হয়। জব্দ করা জালগুলো পরে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং উদ্ধারকৃত ইলিশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হবে। রাজাপুর অংশের চেয়েও অন্য উপজেলার অংশগুলো মৌসুমি জেলেরা ইলিশ নিধনে বেশি উৎসাহী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় মা ইলিশ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা দরকার বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ রাখতে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন দেশের সকল নদ-নদীতে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ ও বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। নিবন্ধিত জেলে ২১শ ৪২ জন পাবে এ চাল।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!