ঢাকা সোমবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫

তরুণ ভোটারদের গুডবুকে আজমল হোসেন চৌধুরী, হতে পারেন নাসির চৌধুরীর বিকল্প

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৫, ০৯:০২ পিএম

তরুণ ভোটারদের গুডবুকে আজমল হোসেন চৌধুরী, হতে পারেন নাসির চৌধুরীর বিকল্প

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী যুক্তরাজ্য বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন চৌধুরী (জাবেদ) এখন আলোচনায় তৃণমূল থেকে প্রবাস পর্যন্ত।
দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, মানবিক উদ্যোগ এবং তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের কারণে অনেকেই মনে করছেন—তিনি হতে পারেন সুনামগঞ্জ-২ আসনে  নাসির চৌধুরীর  বিএনপির বিকল্প নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি।

মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতিতে আসেন আজমল হোসেন চৌধুরী। ১৯৯৪ সালে দিরাই উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য হিসেবে সক্রিয় রাজনীতির সূচনা তার। ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে মাঠে ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে দিরাই সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক, উপজেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক এবং সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০২ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান আজমল হোসেন। সেখানেও রাজনীতিকে পেশা নয়, দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছেন তিনি। তিনি ছিলেন নর্থ-ওয়েল্স বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, যেখানে তার নেতৃত্বে প্রবাসে বিএনপির কার্যক্রম নতুন গতি পায়। পরবর্তীতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সহ সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমানে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।যক্তরাজ্যে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে তার দক্ষতা ও নিবেদন তাকে দিয়েছে প্রবাসী নেতাকর্মীদের আস্থা ও শ্রদ্ধা।

২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আজমল হোসেন চৌধুরী। দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে দেশে ফিরে তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরাসরি অংশ নেন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেন, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যুক্ত করেন নতুন প্রজন্মের তরুণদের।

ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় মিথ্যা মামলায় জর্জরিত বিএনপি কর্মীদের পাশে থেকে সহযোগিতা দিয়েছেন তিনি। কেউ জেলে, কেউ মামলায় বিপর্যস্ত—সবার পরিবারকে পৌঁছে দিয়েছেন সহায়তা।

বন্যা, শীত বা করোনাকাল—দিরাই-শাল্লার সাধারণ মানুষ যখন কষ্টে, তখন প্রবাসে থেকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আজমল হোসেন। নিজের অর্থায়নে অসহায় পরিবারের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী।
তিনি বিশ্বাস করেন রাজনীতি মানে শুধু ভোট নয়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোই প্রকৃত রাজনীতি।এই মানবিক কর্মকাণ্ড তাকে শুধু দলের মধ্যেই নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও একজন সমাজসচেতন মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

দিরাই-শাল্লার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে জানা গেছে, তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে আজমল হোসেন চৌধুরীর নাম উচ্চারিত হচ্ছে ‘আশার প্রতীক’ হিসেবে।তারা বলছেন নাসির চৌধুরীর পুরো বলয়টাকে আজমল চৌধুরী আগলে রেখেছেন। অসুস্থতাজনিত কারনে নাসির চৌধুরী মনোনয়ন না পেলে আজমল চৌধুরী বিকল্প হিসেবে ভাবা যায়।

দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের তরুণ ভোটার নাসিম বলেন, আজমল ভাই শুধু রাজনীতিবিদ নন, তিনি আমাদের দুঃসময়ের মানুষ। বিদেশে থাকলেও এলাকার খবর রাখেন, কারো কষ্ট দেখলে পাশে থাকেন।

তরুন ভোটার সুজন মিয়া বলেন, দলের দুঃসময়ে আজমল চৌধুরী  যেভাবে  নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, তাতে আমরা বিশ্বাস করি—তিনি থাকলে সংগঠন আবার শক্ত হবে। আশা করি তিনিই পাবেন ধানের শীষের মনোনয়ন।

দলের ভেতর ও বাইরে, আজমল হোসেন চৌধুরী এখন একটি বিশ্বাসযোগ্য নাম। সংগঠনে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা, এলাকার মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক এবং মানবিক উদ্যোগ। সব মিলিয়ে তিনি ধীরে ধীরে তৈরি করছেন বিএনপির নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বের রূপরেখা।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি যদি আগামী নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসনে নতুন ও জনমুখী নেতৃত্বের দিকে যায়, তবে আজমল হোসেন চৌধুরী হতে পারেন নাসির উদ্দিন চৌধুরীর যোগ্য বিকল্প।একজন মানবিক, আধুনিক ও তৃণমূলনির্ভর রাজনীতিক।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!