মৌলভীবাজারের চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী হত্যার রহস্য রক্তমাখা ২০ টাকার নোটের সুত্র ধরে আসামী গ্রেফতার
মৌলভীবাজারের ১১ দিনের মাথায় চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সাথে হত্যাকারী জুয়েল মিয়া(২২) কে শ্রীমঙ্গল নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে। রবিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংএ এই তথ্য জানানো হয়।
উল্লেখ্য গত ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় শহরের শমসেরনগর রোডের সদাই-পাতি নামক নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ব্যবসায়ী শাহ ফয়জুর রহমান রুবেল। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নিয়ে এলে সিলেটে উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নভেল চাকমা জানান, শ্রীমঙ্গল লোহারপুল এলাকার বাসিন্দা জুয়েল মিয়া এক সময় মিষ্টির দোকানে কাজ করতো। এখন সে বেকার। এই অবস্থায় তার টাকার খুবই প্রয়োজন ছিলো। গত ৬ আগস্ট থেকে মৌলভীবাজারের শহরে এসে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি। পরবর্তীতে ৭ আগস্ট শহরে এসে প্রথমে সেন্টাল রোডের একটি স্বর্ণের দোকানে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে শমসেরনগর রোডে ভিকটিম ফয়জুর রহমান রুবেলকে একা পেয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে ধ্বস্তাধস্তি হলে ছুরি দিয়ে ১৫ টি ঘাই দিয়ে দোকানের ক্যাশ থেকে ১১০০ টাকা ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। অটো চালককে ভাড়া দেওয়া রক্তমাখা ২০ টাকার নোট, তার হাতে ব্যান্ডেজ ও অটো চালকের তথ্যের ভিক্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয় সে এই খুনের সাথে জড়িত। এছাড়াও খুনের আলামত হিসাবে ধারালো ছুরি, মাক্স ও জুতা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল খয়ের, মৌলভীবাজার সদর থানার ওসি গাজী মো মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :