রাস্তার মাঝখানে কাঁদার ভিতরে একটি মালভর্তি ট্রাকের চাকা। ড্রাইভার চেষ্টা করছিল ভালোভাবে উঠানোর। ব্যর্থ হয়ে নেমে গেল। অনেক চেষ্টার পর ট্রাকটি নিয়ে যেতে পারলেন ড্রাইভার।
এদিকে বাসের ড্রাইভার সতর্ক তার বাসটি ভালোভাবে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অপরদিকে ব্যাটারীচালিত অটোকে যেতে হচ্ছে কারো সহযোগিতা নিয়ে।
এভাবেই প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন। যার দুর্ভোগ পোহাচ্ছ স্থানীয় ও পথচারীরা। তবুও নজর নেই সংশ্লিষ্টদের।
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মধুইল থেকে আগ্রাদ্বিগুন যাবার এলজিইডির প্রধান সড়ক এটি। অভিযোগ দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগেও হয়নি রাস্তাটির সংস্কার।
স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৮ সালে রাস্তাটির সর্বশেষ সংস্কার হয়েছিল। যদিও সংস্কারটি ছিলো নামমাত্র লোক দেখানো। সংস্কারের কিছুদিন পর থেকেই রাস্তাটির পিচ উঠতে শুরু করে। এরপর স্থানীয় ব্যবসায়ী, যানবাহনের চালক, পথচারী, রাজনৈতিক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এই রাস্তাটির সংস্কারের দাবি জানালেও সেই দাবি দেড় যুগেও পৌঁছাইনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কান পর্যন্ত। ফলে চরম জন দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে এলাকার মধুইল হতে আগ্রাদ্বিগুন এই রাস্তাটি। যার ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে একের পর এক দূর্ঘটনা। রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদ হিসাবে পরিচিত লাভ করেছে। এলাকাবাসীর দাবি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের।
সমাজসেবক মুক্তার হোসেনসহ অনেকেই ক্ষোভ নিয়ে জানালেন, এই রাস্তাটি নাম মাত্র সংস্কার করা হয়েছিল ২০০৮ সালে। এরপর আর সংস্কার হয়নি। রাস্তাটি সংস্কারের পর থেকেই পিচ উঠতে শুরু করে। আমরা রাস্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন রাস্তার বেহাল দশা।
একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। এতে যানবাহন উল্টে গিয়ে কারো হাত, কারো পা ভেঙে যাওয়ার মতোও ঘটনা ঘটেছে।
এক পথচারী জানালেন, এই রাস্তা বর্তমানে ড্রেনে পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে গিয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
এক অটোচালক জানালেন, দুই তিন জায়গায় এমন গর্ত একজন মানুষের সমান। চলাচলে খুব সমস্যা।
ট্রাক ও বাস ড্রাইভার বলছেন, রাস্তার এমন বেহাল দশা যা দেখে মনে হয়না এমন রাস্তা আর কোথাও আছে। প্রতিদিন এই রাস্তায় দু-তিনটা গাড়ি যাত্রী ও মালামালসহ উল্টে যাচ্ছে। প্রতিনিয়তই ছোট বড় দূর্ঘটনা লেগেই আছে। এখন তো বর্ষার সময়। যখনই বৃষ্টি হয় তখনই রাস্তার দুই তিন হাত করে গর্তগুলো ডুবে যায়। দেখা যায়না যে কোথায় গর্ত আছে। যার ফলে রাস্তায় আমাদের গাড়ি আটকে উল্টে যায়।
জানতে চাইলে পত্নীতলা উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল হক মুঠোফোনে বলেন, এই মূহুর্তে আমি ও ইউএনও স্যার রাস্তার ওই জায়গাতে দাঁড়িয়ে আছি। খুব দ্রুতই রাস্তাটির কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে জানান স্থানীয়রা।
আপনার মতামত লিখুন :