ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার লেবুবুনিয়া বাজারে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্য “খাদ্যবান্ধন” কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর স্থানীয় ডিলার মোঃ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। জানা যায়, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত কার্ড প্রতি ৩০ কেজি চাল মাত্র ৪৫০ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও, বাস্তবে অনেক উপকারভোগী প্রাপ্য পরিমাণের চেয়ে কম চাল পাচ্ছেন। চাল মজুদের পাশাপাশি, নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত দোকানঘর না থাকায় সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের একাধিকজন অভিযোগ করে বলেন, আমরা ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা, কিন্তু অনেক সময় ২-৩ কেজি কম দেয়। আবার চাল তুলতে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দোকানের অবস্থা এমন যে বৃষ্টি হলে চাল ভিজে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার মোঃ নাসির উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সবকিছু নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। কেউ চাল কম পাচ্ছে তা বলতে পারবে না। চাল মজুদ বা বিক্রি করা হয়নি। কয়েকজন গ্রাহক চাল নিতে আসেনি, তাদের মোবাইলও বন্ধ। বিষয়টি কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। একটি মহল চক্রান্ত করছে।
এদিকে আমতলা এলাকার ডিলার একরাম হোসেন মিঠু নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চাল মজুদ ও নির্ধারিত ঘরে চাল না রেখে অন্য ঘরে চাল রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে মিঠু চাল মজুদের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঘর ছোট নিচু হওয়ায় বৃষ্টির কারনে পাশের অন্য একটি ঘর ব্যবহার করা হচ্ছে। বিষয়টি কতৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শাহনাজ পারভীন জানান, চাল মজুদ রাখা বা অন্য ঘর ব্যবহার করার বিধান নেই। মাপে কম বা অনিয়ম হলে প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে
আপনার মতামত লিখুন :