ঢাকা সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আব্দুল্লার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

মনজু বিজয় চৌধুরী, মৌলভীবাজার

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম

শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আব্দুল্লার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

ছবি: বর্তমান বাংলাদেশ।

গত ১৭ আগষ্ট শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে উপজেলার জানাউড়া গ্রামের মৃত মনা মিয়ার ছেলে ওয়াহিদ মিয়া একই গ্রামের ছোয়াব উল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ গংদের বিরুদ্ধে জামিন নিয়েও এলাকায় প্রবেশ করতে পারছেনা মর্মে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। 
সোমবার দুপুর ১ টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আব্দুল্লাহ পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,তার প্রতিপক্ষ ওয়াহিদ মিয়া সংবাদ সম্মেলনে তার ও তার আত্মীস্বজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বলে দাবী করেন। 
তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। আব্দুল্লাহ প্রকৃত সত্য ঘটনা উপস্থাপন করে বলেন,জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। তিনি সিন্দুরখান ইউনিয়নের খলিলপুর মৌজাতে সাবকাবালা দলিল মূলে ওয়াহিদ মিয়ার পূর্বপুরুষ এসএ রেকর্ডীয় মালিক আনজব উল্লা এর নিকট ধারাবাহিক বিক্রয় থেকে ২১ শতক ভূমি ক্রয় করেন আব্দুল কাদির এর উত্তরাধীকারীদের নিকট থেকে। একই সাথে ষাড়ের গজ মৌজা থেকে আরও ২৩ শতক জমি ক্রয় করেন। এই ৪৪ শতক ভূমিতে তিনি বিগত ৩০ বছর পূর্ব থেকে গাছ লাগিয়ে রেখেছেন ও কিছু অংশে ধানের চারা রোপন করে চাষাবাদ করে আসছেন বলে জানান।

গত ২১ জুলাই দুপুরে তিনি দেখতে পান আহাদ,ওয়াহিদ,শাকিল, ও সেলিম মিয়া মিলে তার ওই জায়গা হতে অন্যায়ভাবে একটি আকাশ মনি গাছ কেটে ফেলে। তিনি তাদের গাছ কাটার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও এলোপাতারি মারধর শুরু করে। এসময় ওয়াহিদ মিয়া গং তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দা,কুড়াল,ছুরি ও লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করতে থাকে। তারা তার কোমড়ের ডান পাশে কুপ মারিয়া কিডনি,মাথায়,হাতে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এসময় তার ছেলে ও তার স্ত্রী তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তারা তাদেরকেও ছুরি দিয়ে স্টেপিং করে কাটা জখম করে। 
পরে তাদেরকে  শ্রীমঙ্গল স্থাস্ব্য কমপ্লেক্স চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আমাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তিনি বলেন তার মেয়ে ১১ জনকে আসামী করে শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা দায়ের করে। এখনও তিন জন মূল আসামী আটক হয় নাই। কাউন্টার মামলা করার জন্য ও এই অপরাধের ঘটনা আড়াল করতে তারা মিথ্যা বানোয়াট ঘটনার দায়ভার তার ওপর চাপাতে চাচ্ছে বলে তিনি জানান। 
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আমিনুল ইসলাম জানান,প্রথম ঘটনার পরে আমরা মামলা নিয়ে দুজন আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়। বাকী আসামীরা জামিনে বের হয়ে চলে আসে। যারা আটক হয় নাই তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে। বিল্ডিং ভাঙার ঘটনায়ও মামলা নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!