নেত্রকোনার দুর্গাপুরে চাঁদা না পেয়ে মসজিদের ইমাম ও তাঁর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মো. জহিরুল (২৭) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুর্গাপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল হাসান।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনায় ছাত্রদল নেতা জহিরুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুন।
অন্য আসামিরা হলেন, উপজেলার সুতিয়াপাড়া গ্রামের
মো. পলাশ (২৬) ও মো. রুবেল (৩৫)।
গ্রেপ্তার মো. জহিরুল উপজেলার সুতিয়াপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি দুর্গাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ঘটনার পরপরই জহিরুলকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রদল।
এদিকে ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ আল মামুন পাশ্ববর্তী পূর্বধলা উপজেলার খারছাইল গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি দুর্গাপুর উপজেলার সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও একই এলাকার মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ মাস ধরে আব্দুল্লাহ আল মামুন দুর্গাপুর উপজেলার সুতিয়াপাড়া নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ও একই এলাকার মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি মাদ্রাসা কমিটির সভাপতির অনুমতি নিয়ে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে মাদ্রাসা সংলগ্ন টিনসেড ঘরে বসবাস শুরু করেন। গত ২ অক্টোবর রাত ২টার দিকে মোটরসাইকেলে চড়ে কয়েকজন ব্যক্তি মাদ্রাসায় এসে তাকে নাম ধরে ডাকেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ইমাম টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে আহত করা হয়। এ সময় তার স্ত্রীকে টানা হেঁচড়া করে শ্লীলতাহানি করে তারা।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় এবং মোবাইলের মাধ্যমে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ভিডিও ধারণ করে। এমনকি তারা মাদ্রাসার ঘুমন্ত দুই ছাত্রকে ডেকে তুলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। হামলাকারীরা প্রায় চার ঘণ্টা মাদ্রাসায় অবস্থান করে চলে যায় এবং ঘটনাটি প্রকাশ করলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
পরদিন সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় ইমাম ঘটনাটি মাদ্রাসা কমিটি ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের অবহিত করেন। স্থানীয়ভাবে সমাধানের অপেক্ষায় থেকে পরে তিনি গত শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, “ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :