ঢাকা বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫

“৩৬ জুলাই হোক ৭১ এর চেতনায় পূর্ণ বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও গণমানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়”- বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি

বর্তমান বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৫, ০১:৪১ পিএম

“৩৬ জুলাই হোক ৭১ এর চেতনায় পূর্ণ বাক স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও গণমানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়”- বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি

ছবি: সংগৃহীত।

আজ ৫ আগস্ট; জুলাই গণঅভ্যূত্থান দিবস। পূর্ণ হলো ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থা উৎখাতের একটি বছর। ঠিক এক বছর আগে এইদিনে পতন হয় দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের এক নায়কতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার। টানা ৩৬ দিনের আন্দোলনে লাখ মানুষের রক্ত, হাজার হাজার ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচারের জিঞ্জির মুক্ত হয় গণতন্ত্র ও রাজনীতি। মুক্তি পায় গণমানুষের পূর্ণ বাক স্বাধীনতা।

সেই দিনের উদিত সূর্যের নতুন উদ্দীপনায় উদ্ভাসিত হয়েছিল লাল সবুজের বাংলাদেশ। ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন প্রবল ক্ষমতাশালী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উত্তাল জনরোষের মুখে দেশ ছেড়ে যান তিনি।

দিনটি কেবল একজন স্বৈরশাসকের পতনের দিনই নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনা ও গণমানুষের সাহসিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হাসিনার পতনের প্রথম বর্ষপূর্তির এ দিনটিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে  বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঐতিহাসিক এ দিনে প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ উপস্থাপন করবেন। জাতির উদ্দেশে দেবেন ভাষণ। রক্তস্নাত এইদিন স্মরণে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টিও চায় পরিপূর্ণ একটি সংস্কার। যার মধ্যদিয়ে জাতি খুঁজে পাবে তার স্বপ্নের সেই কাঙ্খিত বাংলাদেশ। যার বীজ বপন করা হয়েছিল ৭১ এ।

জুলাই বিপ্লব ও ৩৬ জুলাই স্মরণে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক খান বলেন, একাত্তর আর জুলাই বিপ্লবের স্বাধীনতা হোক আগামীদিনের নতুন বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়। সকল জঞ্জাল ‍মুক্ত শান্তির পথ খুঁজে পাক দেশের “আবাল বৃদ্ধ বনিতা, ছাত্র শ্রমিক জনতা”। ফিরে আসুক পূর্ণ বাক স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র। ভোটের উৎসবে জেগে উঠুক বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠা হোক গণমানুষের সরকার।

দিনটি স্মরণে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট অশোক কুমার ঘোষ বলেন, স্বৈরাচার পতনের মধ্যদিয়ে জাতি যে পথে হাঁটছে, সেই পথ যেনো হয় অখন্ড বাংলাদেশের। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যেনো কোন অপশক্তির কালো থাবায় বিলীন হয়ে না যায়। মনে রাখতে হবে কারো দয়ায় যেমন অর্জিত হয়নি ৭১ এর স্বাধীনতা, ঠিক তেমনি কারো মাস্টারমাইন্ড হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে হয়নি ৩৬ জুলাই। জুলাই বিপ্লব ছিল, গণমানুষের পুঞ্জিভূষিত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। যার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হবে গণতন্ত্র, নিপাত যাবে ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠার সকল সাংবিধানিক পদ্ধতি।

বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি বিশ্বাস করে, ৩৬ জুলাইয়ে উদিত সূর্যের পথ ধরে হাসি ফুটবেই, ফুটবে। প্রতিষ্ঠা পাবে ভোটের অধিকার। পরিপূর্ণ তৃপ্তি ও শান্তির বার্তা নিয়ে লড়াকু জনতা ফিরবে প্রশান্তির ঘরে।
 

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!