ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫

দেশে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম

দেশে ন্যায়-ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে

 

 

 

 

তারেক রহমান। ফাইল ছবি

দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদেরকে নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া নিষ্ঠুর আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক দমন-পীড়ন ছিল এজিদ বাহিনীর সমতুল্য। আর কোনভাবেই যাতে নির্দয় অত্যাচারির অভ্যুদয় না ঘটে সেজন্য ইমাম হোসেন (রা:) বাহিনীর যুদ্ধ আমাদেরকে সবসময় প্রতিরোধের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করবে।

শনিবার ‘পবিত্র আশুরা’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাণীতে শহীদ হযরত ইমাম হোসেন (রা.) তার পরিবার ও সঙ্গীদের শাহাদাতের স্মরণে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করেন তারেক রহমান।

 

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের জন্য অত্যন্ত ঘটনাবহুল ও স্মরণীয় একটি দিন ১০ মহররম। বিশ্বের ইতিহাসে এই দিনটিতে অসংখ্য ঘটনা সংঘটিত হয়। তাই এই দিনটির মহিমা অসীম।

এক বিয়োগান্তক বিষাদময় ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত এদিন-যা পবিত্র আশুরা হিসেবে পালন করা হয়। অন্যায় অবিচার জুলুমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এ দিনে কারবালার প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেছিলেন। এই দিন শোক, শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের দিন।

তিনি বলেন, জাগতিক অন্যায় ও দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ইমাম হোসেন (রা:) এর আত্মত্যাগ বাংলাদেশসহ সারা দুনিয়ার মুসলমান ও বিশ্ববাসীর জন্য এক মহিমামন্ডিত অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। ইমাম হোসেনের কষ্ট ও শাহাদাত এবং ইসলাম বাঁচিয়ে রাখার জন্য তিনি যে আত্মত্যাগ করেছিলেন তা দুনিয়াতে এক বিশাল প্রেরণার উৎসস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়। কারবালায় ইমাম বাহিনীর শাহাদাত বরণ সর্বকালে দেশে দেশে অত্যাচারির কবল থেকে মুক্ত হতে নিপীড়িত মজলুম মানুষকে উদ্দীপ্ত করে আসছে।

তারেক রহমান বলেন, গত ১৬ বছরে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার সকল ভাঁওতাবাজীর নির্বাচন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা, সন্ত্রাস, হানাহানি ও দেশের টাকা বিদেশে পাচারসহ এক অবর্ণনীয় শোষণ ও জুলুমের রাজত্ব কায়েম করেছিল।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশী রায়ে সাজা দিয়ে কারারুদ্ধ রাখা এবং তাকে সুচিকিৎসা বঞ্চিত করে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছিল।

 

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!