ঢাকার উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহতাব ভূঁইয়ার (১৪) পর চলে গেলো অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. মাহিয়াও (১৫)।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১ জনে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন মোট ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
নিহতের মা আফরোজা বেগম জানান, আমার মেয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়তো। পাঁচ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছেন। তিন বোনের মধ্যে মাহিয়া ছিল মেজ। বর্তমানে আমরা উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে নিজ ফ্ল্যাটে থাকতাম।
মাহিয়ার মা অভিযোগ করে বলেন, আমার বাচ্চা সকাল ৭টায় বাসা থেকে বের হয়। সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু হয়। দুপুর একটায় তাদের ক্লাস শেষ হয়। মাইলস্টোন কর্তৃপক্ষ জোর করে বাচ্চাদের আটকে রাখে কোচিং করার জন্য। যদি তারা একটায় ক্লাস বের হতে পারতো, হয়তো তারা বেঁচে যেতো। এমনভাবে তারা ক্লাসরুমকে খাঁচার মতো করে তৈরি করে রেখেছে যে, চাইলেও বের হতে পারে না বাচ্চারা। তারা যদি খাঁচার মতো করে আটকে না রাখতো, ঘটনার পরেও অনেক বাচ্চারা বের হতে পারতো। আমার বাচ্চা তো চলে গেলো। এই দায়-দায়িত্ব এখন কে নেবে?
আপনার মতামত লিখুন :