ঢাকা শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

শাবানা-ওয়াসিমের সিনেমা দিয়ে শুরু সেই হল বন্ধ ঘোষণা

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম

শাবানা-ওয়াসিমের সিনেমা দিয়ে শুরু সেই হল বন্ধ ঘোষণা

বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স বন্ধ হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আধুনিকায়নের চার বছর পর স্থায়ীভাবে জনপ্রিয় এ প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গেল।

মধুবন সিনেপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারী রোকনুজ্জামান ইউনূস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মধুবন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখছি। মাসের পর মাস লোকসান খাচ্ছি। আজই শেষ দিন। এই সপ্তাহে ‘নন্দিনী’ সিনেমাটি চালাচ্ছিলাম, কিন্তু দর্শক পাইনি। ছবি চালানোর খরচই ওঠে না। সিনেমা হল ভেঙে ওখানে কী বানাব এখনো সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারিনি।

তিনি আরও বলেন, সবশেষে তাণ্ডবের পর আর কোনো ব্যবসা সফল সিনেমা আসেনি৷ অনেক সিনেমা হলে এসেছে, কিন্তু কোনো দর্শক সাড়া ফেলতে পারেনি। আমরা আর লোকসানে সিনেপ্লেক্স চালাতে পারছি না৷ আমাদের বিদ্যুৎ বিল বাকি, কর্মচারীদের বেতন নিজেদের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে। এভাবে আর চালানো সম্ভব না।


ইউনূস বলেন, আমাদের দেশের সিনেমা ঈদ ছাড়া দর্শক টানতে পারছে না। বিদেশি সিনেমা চালাতে পারলে দর্শক আসত। প্রতিযোগিতায় আমাদের সিনেমাও ভালো চলত। কিন্তু বাইরের সিনেমা আমদানি একেবারে বন্ধ। তাই টানা লোকসান আর সম্ভব নয়। প্রতি মাসে সব মিলিয়ে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা খরচ আসে। সিনেমা চালিয়ে ব্যবসা না হলে কীভাবে এই খরচ তুলব? আমার ইচ্ছে একেবারে বন্ধ থাকবে।

মধুবন সিনেপ্লেক্সে আসন ছিল ৩৩৬টি। আধুনিকায়নের পর এ হলেই রমরমা ব্যবসা করেছিল জনপ্রিয় সিনেমা ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘তুফান’ ও ‘বরবাদ’। পরিবার নিয়ে দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শকদের জন্য সর্বশেষ ‘বরবাদ’ ছবির একাধিক মিডনাইট শোও চালানো হয়েছিল এখানে।

১৯৭৪ সালে শাবানা-ওয়াসিম অভিনীত ইবনে মিজান পরিচালিত ‘ডাকু মনসুর’ সিনেমা দিয়ে যাত্রা শুরু করে মধুবন। মধুবনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ব্রিটিশ আর্মির অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট এ এম ইউনুস। বাবার সঙ্গে সিনেমা হলের ব্যবসা দেখাশোনা করতেন ছেলে রুবেল। তিনিই ‘মধুবন’ হলটিকে সিনেপ্লেক্সে রূপান্তরের উদ্যোগ নেন। পরে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর নতুন করে রূপান্তরের পর প্রথম শো চালু করা হয়৷

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!