ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

কলেজে ভর্তিতে শিক্ষা কোটার অপব্যবহার রুখতে বোর্ডের কঠোর নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম

কলেজে ভর্তিতে শিক্ষা কোটার অপব্যবহার রুখতে বোর্ডের কঠোর নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দ (ইকিউ-১ ও ইকিউ-২) কোটার ক্ষেত্রে কঠোর শর্তাবলি দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। কোটার সুযোগ নিতে হলে প্রার্থীদের যথাযথ প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে, অন্যথায় ভর্তি সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।


এতে বলা হয়, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৫ অনুযায়ী ইকিউ-১ ও ইকিউ-২ কোটায় আবেদনকারীদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হবে। এরমধ্যে ইকিউ-১ (এডুকেশন কোটা-১) কেবল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে ইকিউ-২ (এডুকেশন কোটা-২) নির্ধারণ করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৮টি দফতর, অধিদফতর ও সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য।

এই ২৮টি দফতরের মধ্যে রয়েছে— বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি), শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, এনটিআরসিএ, ব্যানবেইস, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম), আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা অধিদফতর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডগুলোসহ আরও বেশ কয়েকটি সংস্থা।

এ ছাড়া সরকারি স্কুল, সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং সরকারি শিক্ষা অফিসে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সন্তানের ক্ষেত্রেও ইকিউ-২ কোটার সুযোগ প্রযোজ্য হবে।


নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এই কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে প্রমাণপত্র বা প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, অনেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কোটা সুবিধায় আবেদন বা নিশ্চায়ন করেছেন। এমন ক্ষেত্রে তাদেরকে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে আবেদন বা নিশ্চায়ন বাতিল করে নতুনভাবে আবেদন করতে বলা হয়েছে।

গত ১০ আগস্ট জানানো হয়, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায় এবার বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতরগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানরা। ওইদিনই প্রতিষ্ঠানপ্রধান ও অধ্যক্ষদের কাছে এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

যেভাবে হচ্ছে কোটার সামগ্রিক বণ্টন
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। বাকি ৭ শতাংশ সংরক্ষিত কোটার মধ্যে— ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য (ইকিউ-১) এবং বাকি ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থা ও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য (ইকিউ-২) প্রযোজ্য হবে।

তবে সংরক্ষিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে সেসব আসনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি করানো হবে বলেও জানিয়েছে বোর্ড।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!