মৌলভীবাজার মাছ কাটার পর ফেলে দেওয়া এসব আঁশ বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী অসংখ্য পরিবার। জেলায় বিভিন্ন বাজারে কেউ কেউ মাছের আঁশ সংগ্রহ করে,আবার কেউ কেউ একসাথে বসে মাছ কাটছে। আবার সেই মাছের আঁশ কেউ ধোয়ে পরিষ্কার করছেন। আঁশ এখন দেশে-বিদেশ রপ্তানি করা হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, শহরের কয়েকটি বাড়িতে ও এসব পরিবার দেখা যায় গ্রামের বাড়িতে আঁশ রোধে শুকাছে আবার কেউ এগুলো আঁশ লাড়ালাড়ি করতেছে। এই মাছের আঁশ শুকানোর পরপর,করকড়া হয়ে যায়। প্রথম মাছের আঁশ গুলো ধোঁয়া, রোধে ২/৩ ঘন্টা শুকাতে হয়। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পযন্ত মাছের পাতি সংগ্রহ করা হয়। ৩ থেকে ৪ মাস পর পর আমরা ৫ শ থেকে ৬ শ কেজি বিক্রি করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকার এসে মাছের আঁশগুলো কিনে নিয়ে যায়।
জানা যায়, প্রতি দিন আমরা ২ থেকে আড়াই কেজি সংগ্রহ করি। ৩ কেজি শুনার পর আমাদের ১ কেজি সংগ্রহ হয়। প্রতি মাসে প্রায় ৩০ কেজি হয়। কাঁচা পাতি ৩ কেজি সংগ্রহ করা যায় প্রতিদিন। আগে মাছের পাতি কেজি প্রতি ৮০/৯০ টাকা বিক্রি করা হতো, কিন্তু এখন তা কমে গেছে ৬০/৭০ টাকায়। মাছের পাতি সংগ্রহ করে শ্রীমঙ্গলের পাটি। তারা আবার চিটাগাং বিক্রি করে। আর চিটাগাং এর ব্যবসায় বিদেশে বিক্রি করে।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১ কেজি একটা মাছে ৮০ থেকে ১০০ গ্রাম পাতি তৈরি হয়। সেই হিসেবে একটি বাজারে যদি প্রতিদিন ১ টন মাছ কাটা হয়। তাহলে ১০০ কেজির মতো পাতি সংগ্রহ করা যায়। তাছাড়া ঔষধ শিল্পের, কসমেটিক শিল্পের তৈরি হয়। বিশেষ করে আমাদের দেশে তৈরি না হলে ও, আন্তর্জাতিক বাজের অনেক কাজ রয়েছে। স্থানীয় বাজার থেকে আঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে রফাতানি হচ্ছে জাপান,চীন,ইন্দোনেশিয়া,ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ায়।
আঁশ বিক্রেতা মনসুর মিয়া নামের একজন জানান যে, আমরা মৌলভীবাজার পশ্চিম বাজার মাছের বাজারে মাছের পাতি সংগ্রহ করে সেই গুলো বিক্রি করে আমরা আমাদের পরিবার ও সন্তানের লেখাপড়ার খরচ চালাই।
একই বাজারের আঁশ বিক্রেতা মনসুর মুয়া নামের একজন জানান যে, ২শ পিস মাছ কাটতে পারি। তারপর যে মাছের পাতি বাড়িতে পাটির উপর শুকিয়ে নেন। বর্তমানে এখন এই পাতির উপর নির্ভর করে তারা তাদের পরিবার ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাছে।
মৌলভীবাজার পশ্চিম বাজার মৎস আরদের সভাপতি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনে বলেন মাছের পাতি বিদেশে পাটানো হয়। আসলে কিন্তু শুকানোর পর্যাপ্ত জায়গায় নেই। আমাদের পক্ষ থেকে, এখানে যারা মাছ কাটে, তাদের যত ধরনের সুযোগ সুবিধা লাগে, আমি সভাপতি হিসেবে বা আরও যারা বাজারে ব্যবসা হিসেবে আমাদের পক্ষে থেকে যত ধরনের সুযোগ সুবিধা দিব। তারপর ও যদি সরকার এখানে কোনো ব্যবস্থা নেয় এখানে আমরা ও থাকব।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ আরিফ হোসেন বলেন কি পরিমাণ মাছের পাতি তৈরি হয় মৌলভীবাজারে। সুবিধা-অসুবিধার কথা আমি জেনেছি। তাদের মাছ কাটার কিছু আলাদা জায়গায় দরকার। যে কতজন মানুষ এটার সাথে জড়িত আছে। এই কাজ করলে তাদের জীবন মানের উন্নতি হয়। তারা ভালো দাম পায়,সে হিসেবে আমরা কাজ করছি।
আপনার মতামত লিখুন :