নওগাঁর মান্দায় জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. রেজাউল হক (৩৬) মান্দা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রেজাউল হক ও তার পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী হামিদুর রহমান বাবু (৫২), হেলাল প্রাং (৪৫), বেলাল প্রাং (৪৮), আব্দুল হামিদ মৃধা ভোলা (৪৫) ও সেলিম হোসেন (২৫) দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে আছেন।
রেজাউল হকের দাবি, বাঁশবাড়ীয়া মৌজার খতিয়ান নং ১১০, হাল দাগ নং ৩৮৫, ৩৮৬, ৩৮৭ ও ৩৮৮—মোট ৩৫ শতাংশ জমির মধ্যে তার দাদী আমেনা বেগমের নামে ১৭.৫০ শতাংশ জমি দলিল (নং-৪৭৩, তাং-২৮/০১/১৯৭৪ ইং) অনুযায়ী তাদের ভোগদখলে রয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ওই জমি দখলের উদ্দেশ্যে আসামিরা বিভিন্ন সময় হুমকি দেয় এবং জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
সর্বশেষ ২৪ অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে এক সালিস বৈঠকে আসামিরা একটি দলিল (নং-১২, তাং-০২/০১/১৯৭৪ ইং) উপস্থাপন করে দাবি করে জমিটি তাদের। পরে রেজাউল হক রেকর্ডরুম থেকে মূল দলিল সংগ্রহ করে দেখেন, ওই দলিলে ক্রেতা ও বিক্রেতার নাম সম্পূর্ণ ভিন্ন—যা তার জমির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জাল দলিল তৈরি করে সেটিকে সত্য বলে প্রচার করছে এবং প্রতারণামূলকভাবে তার পরিবারের ভোগদখলীয় সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টা করছে।
ঘটনাটি স্থানীয় আব্দুস সামাদ সরদার, আব্দুল জলিল সরদার, আব্দুল খালেক মৃধা ও লুৎফর রহমানসহ অনেকে প্রত্যক্ষ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
রেজাউল হক বলেন, “আমরা প্রথমে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় থানায় এজাহার দিয়েছি।”
এ বিষয়ে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু রায়হান বলেন, “এজাহারটি গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আপনার মতামত লিখুন :