ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া’র বিরুদ্ধে মেঘনায় বালু উত্তোলনে ইজারাদারের কাছ থেকে প্রতিদিন এক লাখ টাকা দাবির অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়, অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের ড্রেজার জব্দের সময় ইজারাদারের প্রতিনিধিদের কাছে থাকা ১২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন ইউএনও।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে ইউএনও’র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন ইজারাদার মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজের মালিক তানভীর আহমেদ নাগিব।
এসময় লিখিত বক্তব্যে তানবির আহমেদ নাগিব বলেন, চলতি বছরের ১৪ মে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ১৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বিনিময়ে ভৈরব উপজেলার আগানগর ও সাদেকপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলনের ইজারা দেয় মেসার্স নাগিব এন্টারপ্রাইজকে। উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত সীমানা বুঝিয়ে দেওয়ার পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম মেনে বৈধ ভাবে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের মাধ্যমে বালু উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। নির্ধারিত নিয়মে রাজস্বও সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও আশুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া প্রতিদিন এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এসময় তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় গত মঙ্গলবার ভোরে ভৈরব সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার ৪টি ড্রেজার ও ৫টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে দুজন শ্রমিককে এক বছরের সাজা প্রদান করেন। এসময় শ্রমিকদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। পরে দুই দিনের জমা এবং ড্রেজারের টাকা বাবদ প্রায় ১২ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এতে প্রতিষ্ঠানটি বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী আরিফুল হক সুজন, হানিফ মাহমুদ, সাজ্জাদ হোসেন মামুন, মাসুদুর রহমান লিটন সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বলনে , আমার কাছে অভিযোগ এসেছে ভৈরব থেকে আমাদের আশুগঞ্জের চর সোনারামপুর এলাকায় একটি বিদ্যুতিক টাওয়ার আছে ওখান থেকে তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে অভিযোগের ভিত্তিতে আমি আমার মত করে সকাল ছয়টায় আমি মোবাইল কোড পরিচালনা করি এবং গিয়ে দেখি যে পাঁচটা ডেজার এবং পাঁচটা বাল্কহেড তারা আশুগঞ্জের সীমানায় ওই বৈদ্যুতিক টাওয়ারের কাছে বালু উত্তোলন করতেছে আমি জিজ্ঞেস করলাম যে তোমরা কোথা থেকে আসছো তখন তারা বলল যে আমরা ভৈরবের তারেক সাহেবের লোক তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম তোমরা কোথায় আসছো তখন ওরা দেখে বলল যে আরে আমরা তো আশুগঞ্জের সীমানায় চলে আসছি এটা আমার কাছে ভিডিও করা আছে । সেই ভিত্তিতে পাঁচটা ভেজার এবং পাঁচটা বাল্কহেড জব্দ করি । আর আমার বিষয়ে যে অভিযোগ করেছে যে আমি প্রতিদিন এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছি এটা মিথ্যা বানোট তারা প্রমাণ দেখাক ।
আপনার মতামত লিখুন :