মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান ও অব্যবস্থাপনা সরেজমিনে দেখতে হঠাৎ পরিদর্শনে যান জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ। রোববার দুপুরে এনসিপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন এবং রোগী, স্বজন ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। ১৪ সেপ্টেম্বর রবিবার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রীতম দাশ বলেন, “কমলগঞ্জ ৫০ শয্যা হাসপাতালের চিত্র অত্যন্ত করুণ। এখানে জনবল ও চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। যে কয়জন কর্মরত আছেন, তাদের মাধ্যমেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। হাসপাতালের পরিবেশ এতটাই নোংরা যে, সুস্থ মানুষ এলেও অসুস্থ হয়ে পড়বেন। প্রতিটি ওয়ার্ডে দুর্গন্ধ, ময়লা-আবর্জনায় ভরা। ব্যাপারটা যেন একেকটা হাসপাতাল নয়, বাগার!”
তিনি আরও বলেন, “রোগীরা ঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন না, ওষুধের সরবরাহের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। রেজিস্টারে ওষুধ প্রদানের হিসাব থাকলেও বাস্তবে অনেক সময়ই রোগীরা তা পাচ্ছেন না। এটি রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা, একটি জালিয়াতি। এসব অনিয়ম অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত।”
এনসিপির এই নেতা বলেন, হাসপাতালটি জনগণের টাকায় পরিচালিত, তাই এখানকার সেবাদানকারী কর্মকর্তাদের জনদায়বদ্ধতা থাকতে হবে। “আমরা সিভিল সার্জনকে বলব, দ্রুত পরিদর্শনে এসে পরিচ্ছন্নতা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবস্থা নিন,” বলেন তিনি।
পরিশেষে তিনি জানান, এনসিপির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ এবং বিদ্যুৎ-পানি-অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে।
আপনার মতামত লিখুন :