বগুড়ার আদমদিঘী ও সান্তাহার এলাকায় ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মোবাইল ভিত্তিক গেম বেলিং ও অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার নেশা। দিন দিন এ নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে এলাকার তরুণ ও কিশোররা। মোবাইল ফোনে লুকিয়ে চলছে,গাম বেলিং, ক্যাসিনো গেম ও অনলাইন বেটিং নামে এক ভয়াবহ ধ্বংসের খেলা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এখন অনেক তরুণ তাদের ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক টাকা চুরি করে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে এসব গেমে অংশ নিচ্ছে। রাত জেগে মোবাইল হাতে তারা জুয়ার ফাঁদে ডুবে যাচ্ছে, ফলে পরিবারে শুরু হয়েছে অশান্তি, আর্থিক ক্ষতি এবং মানসিক বিপর্যয়।একজন ক্ষুব্ধ অভিভাবক বলেন,আমার ছেলে আগে পড়ালেখায় ভালো ছিল। এখন সারাদিন ফোনে গেম খেলে টাকা হারায়। পরিবার থেকে টাকা চুরি করে বিকাশে পাঠায়। বাড়িতে শান্তি নেই, ভবিষ্যৎ অন্ধকার।আরও জানা গেছে, এসব অনলাইন জুয়ার প্রচারণা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগল বিজ্ঞাপন-এর মাধ্যমে জোরপূর্বক মানুষকে গাম্বলিং অ্যাপ ডাউনলোডে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। অনেকের ফোনে অনুমতি ছাড়াই এসব গ্যাম্বলিং অ্যাড ভেসে উঠছে, ফলে অজান্তেই তরুণরা এসবের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে।স্থানীয় চায়ের দোকান ও আড্ডাস্থলগুলোতেও এখন জুয়া নিয়ে আলোচনা হয়। অনেক যুবক দলবদ্ধভাবে ফোনে টাকা লাগিয়ে “লাইভ বেলিং” খেলে। এলাকাবাসীর দাবি, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো প্রজন্ম নেশা ও ঋণের জালে ফেঁসে যাবে।
সচেতন মহল বলছেন,এভাবে চলতে থাকলে তরুণ সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক সংকটেও রূপ নিচ্ছে। প্রশাসন ও অভিভাবকদের এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আদমদিঘি থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান কে মোট ফোনে কল দিলে তিনি বলেন পরে কথা হবে বলে ফোন কেটে দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :