ঢাকা শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫
যাত্রীদের চরম ভোগান্তি

কাঁঠালিয়ায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করে চলছে সেতু সংস্কার

মো. আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি

প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ০৯:২২ পিএম

কাঁঠালিয়ায় বিকল্প সড়ক নির্মাণ না করে চলছে সেতু সংস্কার

ছবি-বর্তমান বাংলাদেশ।

বিকল্প সড়ক, সেতুর ব্যবস্থা না করে চলছে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া বিনাপানি ভাড়ানি খালের ওপর বেইলি ব্রিজ সংস্কার কাজ। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে বরিশাল ঝালকাঠি ভান্ডারিয়া বামনা পাথরঘাটা আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলরত হাজার হাজার যাত্রী ও পথচারী। বিকল্প ব্যবস্থা না করায় এ ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানান, ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপারের ব্যবস্থা করে হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে (৩০ এপ্রিল) সড়ক জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা মাসুকুর রহমান কাজের স্থান পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার আশ্বাস দেন।

মো. মামুন নামের এক ঠিকাদার গত ২ এপ্রিল এ সেতুর সংস্কারের কাজ শুরু করে। ২৮ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে অর্ধেক। কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে, তা বলতে পারছেনা। গুরুত্বপুর্ন সড়কটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাঁঠালিয়া থেকে ৩০ কিলোমিটার গুরে পিরোজপুর, বাগেরহাটসহ খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়। এছাড়া ১০ কিলোমিটার অতিরিক্ত এবং আকা বাকা সড়ক ঘুর জেলা শহর, বিভাগীয় শহর এবং রাজধানীতে যেতে হচ্ছে। এতে অর্থ এসময় সময় দুটোই অপচয় হচ্ছে। ওই সড়ক বন্ধ থাকায় ১৪টির বেশি রুটের সকল ধরনের যানবাহন কাঁঠালিয়া-রাজাপুর সড়ক দিয়ে চলাচল করছে। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল করায় সড়কটির অবস্থাও বেহাল।

এদিকে ভান্ডারিয়া-কাঁঠালিয়া ১২ কিলোমিটর সড়কে প্রতিদিন শত শত অটো টেম্পু চলাচল করতো। বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কাঁঠালিয়া ও ভান্ডারিয়া বন্দরের ব্যবসায়ীরা পড়েছে চরম বিপাকে।

কেবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম জানান, রাস্তা বন্ধ থাকায় ট্রলার পার হয়ে সময়মত কাঁঠালিয়া সদরে গিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে বিষণ কস্ট হচ্ছে।

অটো টেম্পু চালক ফেরদৌস মিয়া বলেন, এখন যাত্রী নিয়ে সরাসরি ভান্ডারিয়া যেতে পারিনা। ফলে আয়ও কম। ফলে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।

মনিরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, সিড়ির ব্যবস্থা না থাকায় কাদা পানি মাড়িয়ে ট্রলার থেকে কিনারে উঠতে হচ্ছে। এতে জামা কাপড় ও মালামাল নষ্ট হচ্ছে।

কেবিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেবা রানী মন্ডল বলেন, শিক্ষার্থীরা  সময় মতো বিদ্যালয় আসা যাওয়া করতে পারছেনা। এতে লেখা পড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।

স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো.দুলাল শরীফ বলেন, কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা বলতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। বিকল্প ব্যবস্থা না করে এভাবে কাজ করা ঠিক না। এতে এ সড়কের চলাচলকারি যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করারও অনুরোধ জানান তিনি।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খানকে ফোন করলে, তিনি মিটিং আছেন, পরে কথা বলতে বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!