ঝিনাইদহে নতুন দলে যোগদান ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার ফুরসন্দী ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামে মোশাররফ হোসেন (৫৫) নামে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে তার বাড়ি ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। মোশাররফ হোসেন ওই গ্রামের শমসের মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের ৬ জন। আহতরা হলেন, আনিছুর রহমান, মতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন ও নাহিদ। তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আহম্মদ আলী জানান, দিঘীরপাড় গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে আ’লীগ নেতা শহীদ শিকদার ও আবু সাঈদের দুইটি সামাজিক দল ছিল। গ্রাম পার্যায়ে তারা আলিমুদ্দীন ও আহম্মদ আলী গ্রুপে বিভক্ত হয়। হাসিনা সরকারের পতনের পর উভয় গ্রুপের সামাজিক দলের সদস্যরা যুবদল নেতা শাহাবুল ও বিএনপি নেতা জাহিদ বিশ্বাসের দলে ভিড়ে যায় এবং সামাজিক বিরোধে লিপ্ত হয়।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, পুরানো বিরোধর জের ধরে গত ২৮ এপ্রিল একদফা মারামারি হয় এবং রেজওয়ান বিশ্বাসের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। ঘটনার দিন আলিমুদ্দীনের সমর্থকরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে নারীসহ ৫ জনকে আহত করে।
সুত্র জানায়, বুধবার দুপুরে এলাকায় পুলিশ আসার খবরে আলিমুদ্দীনের সমর্থকরা নিরাপদ স্থানে চলে যায়। কিন্তু সুযোগ বুঝে আহাম্মদ আলীর সমর্থকরা প্রতিপক্ষ আলিমুদ্ধীন গ্রুপের সদস্য মোশাররফ হোসেন মোল্লার বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ৭ জনকে গুরুতর জখম করে। এরমধ্যে মোশাররফ হোসেন ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা যান।
এঘটনায় খবর পেয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদ দিঘীরপাড় গ্রাম পরির্দশ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া বলেন, সামাজিক দ্বন্দের কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :