অখণ্ড কিশোরগঞ্জ বাস্তবায়নের দাবিতে আবারও আন্দোলনে নেমেছে ছাত্র-জনতা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে শহরের ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল সরকারি কলেজের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়।
গত সোমবার ভৈরবে আন্দোলনকারীদের ওপর ট্রেনে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
আন্দোলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক জগলুল হাসান চয়ন, কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, সদস্য সচিব ফয়সাল প্রিন্স, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মামুন মিয়া, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুল হক নাঈম ও শেখ মুদাছির তুশি, কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি নুসরাত জাহান, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সালমান এম সাকিব প্রমুখ।
বক্তব্যে জগলুল হাসান চয়ন বলেন, “ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জ জেলার বিভক্তি বা নতুন জেলা ঘোষণার যেকোনো প্রচেষ্টা জেলার ঐক্য ও সম্প্রীতিকে ক্ষুণ্ন করবে। ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দিক থেকে কিশোরগঞ্জ একটি অবিচ্ছেদ্য জেলা। তাই অখণ্ড কিশোরগঞ্জ বজায় রাখা জেলার মানুষের ন্যায্য দাবি।”
নুসরাত জাহান বলেন,
“আমরা কোনো বিভাজন চাই না। ভৈরব বা কিশোরগঞ্জ—সবাই একই জেলার মানুষ। যারা বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়, তারা এই জেলার শান্তি নষ্ট করতে চায়।”
ইকরাম হোসেন বলেন,
“ভৈরবের ট্রেনে হামলার ঘটনার তদন্ত হোক স্বচ্ছভাবে। যারা এই অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কাজ করছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।”
একই দাবিতে বক্তব্য দেন শেখ মুদাছির তুশি। তিনি বলেন, “অখণ্ড কিশোরগঞ্জ শুধু প্রশাসনিক দাবি নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য ও পরিচয়ের প্রশ্ন। সম্প্রীতি রক্ষা করতে হলে সবাইকে একসাথে থাকতে হবে।”
আন্দোলনের শেষে বক্তারা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান—অখণ্ড জেলার দাবি মেনে নিয়ে কিশোরগঞ্জের মানুষের শান্তি ও ঐক্য অক্ষুণ্ণ রাখতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।

আপনার মতামত লিখুন :