ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

বহাল থাকবে ছাত্রদলের হল কমিটি : রাকিব

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম

বহাল থাকবে ছাত্রদলের হল কমিটি  : রাকিব

ছবি: বর্তমান বাংলাদেশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি থাকা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার- এমন দাবি পুনর্ব্যক্ত করে সদ্য ঘোষিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হল কমিটিগুলো বহাল রাখার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি বলেন, “আমাদের হল কমিটিগুলো বিদ্যমান থাকবে। বরং কোনো গুপ্ত রাজনীতি বহাল থাকবে না।”

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, ক্যাম্পাস ও ডাকসু কেন্দ্রিক ছাত্ররাজনীতির রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে ছাত্রদলের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে রাকিব এ ঘোষণা দেন।

 

রাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলে গুপ্ত ছাত্র রাজনীতির প্রতি অনীহা দেখিয়েছে এবং তা বন্ধে পদক্ষেপ নেবে বলে আশ্বস্ত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গোপনে কোনো রাজনীতি চর্চা হবে না বরং রাজনীতি হবে প্রকাশ্য ও জবাবদিহিতামূলক।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ নামক ফেসবুক গ্রুপে ছাত্রদলকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা হচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি চিহ্নিত ছাত্রলীগ কর্মী জুলিয়াস সিজার তালুকদারের নাম উল্লেখ করে বলেন, “সে গ্রুপের অ্যাডমিন হিসেবে ছাত্রদলবিরোধী কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছে এবং আমাদের হল কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গঠিত ‘মব’-এর অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছে।”

তিনি জানান, বৈঠকে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত চিহ্নিত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আইনগত বিচারের দাবিও তোলা হয়েছে। এখনো যেসব ছাত্রলীগ কৌশলে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে তাদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।

রাকিব বলেন, শনিবারের মধ্যেই গুপ্ত ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, হলে ছাত্র রাজনীতির প্রকৃতি নির্ধারণ এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে বিস্তারিত আপডেট মিলবে।

ছাত্রশিবিরের গুপ্ত রাজনীতির সমালোচনা করে রাকিব বলেন, “ছাত্রলীগ যেভাবে হলে দখলদারিত্ব চালাত, শিবিরও একইভাবে গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে দখল করছে।”

রাকিব জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছে, কারা সাইবার বুলিং করছে, গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে এবং অপসংস্কৃতি ছড়াচ্ছে- তা তদন্ত করা হবে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!