ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

অন্য কারও লাঙ্গল পাওয়ার সুযোগ নেই জি এম কাদের ছাড়া; শামীম হায়দার পাটোয়ারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম

অন্য কারও লাঙ্গল পাওয়ার সুযোগ নেই জি এম কাদের ছাড়া; শামীম হায়দার পাটোয়ারী

ছবি: সংগৃহীত।

 শামীম হায়দার পাটোয়ারীফাইল ছবি

জি এম কাদের ছাড়া আইনত অন্য কারও জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙ্গল প্রতীক পাওয়ার সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন শামীম হায়দার পাটোয়ারী। জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান, তাঁরা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) আইনি ব্যাখ্যায় দেখিয়েছেন, লাঙ্গল অন্য কারও নেওয়ার সুযোগ নেই।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। শামীম হায়দার বলেন, তাঁরা আশা করছেন, ইসি আইনের সঠিক ব্যাখ্যা করে ন্যায়বিচার করবে।

৯ আগস্ট রাজধানীর গুলশানের একটি মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির ‘দশম কাউন্সিল’ করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক। ওই সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে দলের চেয়ারম্যান এবং রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব করা হয়। পরদিন বিষয়টি ইসিকে লিখিতভাবে জানানো হয়। এমন প্রেক্ষাপটে আজ ইসির সঙ্গে বৈঠক করে জি এম কাদেরের নেতৃত্বাধীন অংশের প্রতিনিধিদল।

জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, জি এম কাদেরের বিরোধীদের সম্মেলন বৈধ নয় দাবি করে শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু লোক সমাবেশ করলেই সেটা বৈধ কাউন্সিল হতে পারে না। এর আগেও আরেকটি গ্রুপ দশম সম্মেলন করেছিল। ওই সম্মেলনে থাকা তিনজন এবারও সম্মেলন করেছেন, তাঁরা দুবার দশম সম্মেলন করেছেন। জি এম কাদের ছাড়া অন্য কারও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ দলের গঠনতন্ত্র ও আইনে নেই। এরশাদের লাঙ্গল জি এম কাদেরের কাছেই আছে এবং থাকবে।

শামীম হায়দার বলেন, তাঁরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চান। তাঁরা আশা করেন, নির্বাচন কমিশন তার নিরপেক্ষতা রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। সবার অংশগ্রহণে একটি সুন্দর ভোটের মাধ্যমে দেশে নতুন গণতন্ত্রের আলো ফুটবে। তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারকে পুরোপুরি নিরপেক্ষ মনে করেন না। তবে তাঁরা ইসিকে নিরপেক্ষ দেখতে চান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামীম হায়দার বলেন, নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য যেসব শর্তের কথা আইনে আছে, তার কোনোটাতেই জাতীয় পার্টি পড়ে না। জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার যে দাবি তোলা হচ্ছে, তা দুঃখজনক।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শামীম হায়দার বলেন, চরমোনাই (ইসলামী আন্দোলন) বিগত সময়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী অংশ নিয়েছিল। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অংশ নিয়ে জামায়াত নেতাদের অনেকে নির্বাচিত হয়ে এখনো আছেন। 

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, এখানে জাতীয় পার্টিকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। জাতীয় পার্টি ভোটে অংশ নিয়েছিল, অন্যরাও অংশ নিয়েছিল। শুধু ভোটে অংশ নেওয়ার জন্য কাউকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা যেতে পারে না। এটা গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকারক। সব দল নিষিদ্ধ হয়ে গেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া ভোটে সরকার গঠিত হলে, সেটা টেকসই হবে না। অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!