রুমিন ফারহানা। ফাইল ছবি
জামায়াতে ইসলামী যদি কাউকে শত্রু চিহ্নিত করে, তবে তাকে যেভাবে অ্যাটাক করবে তা বাংলাদেশের অন্য কোনো পার্টি করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা। সম্প্রতি একটি টক শোতে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
জামায়াত তাদের জন্য কাউকে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করলে তাকে নিশ্চিহ্ন করতে আক্রমণ করে— এমনটা উল্লেখ করে রুমিন বলেন, ‘পলিটিক্যাল পার্টি হিসেবে জামায়াতের কিছু কিছু বিষয় আমাদের বুঝতে হবে। ইটস ভেরি অর্গানাইজড পার্টি।
ভেরি এক্সট্রেমলি ওয়েল অর্গানাইজ পার্টি। জামায়াতের যারা কর্মী সাথী সমর্থক ভোটার যারাই আছেন তারা কিন্তু ডাই হার্ট। তারা পার্টির জন্য বাঁচতেও পারে, মরতেও পারে। ডু এনিথিং ফর পার্টি।
তারা কোনো ভালো মন্দ কোনো কিছু বিচারের মধ্যে নাই। পার্টির কমান্ড তারা মানবে। অনেকটা আমাদের মিলিটারির মতো। বিভিন্ন দেশের মিলিটারিরা যে ট্রেনিং এর মধ্যে দিয়ে যায় জামায়াত অনেকটা সেরকম এবং জামায়াতের আমির কিছুদিন আগে বলেছেন যে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আর আমরা খুবই ওয়েল অর্গানাইজ।
সো তারা সম্মিলিতভাবে যদি কোনো শত্রু চিহ্নিত করতে পারে তাকে তারা যেভাবে অ্যাটাক করবে, এটা বাংলাদেশে অন্য কোনো পলিটিক্যাল পার্টি করবে না।’
বর্তমানে রাজনীতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক বেশি প্রভাব ফেলছে। আর এখানেও জামায়াতকে এগিয়ে রাখলেন রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির মাঠ কিন্তু এখন দুটো। একটা হচ্ছে প্রচলিত মাঠ।
যে মাঠে আমরা লড়াই সংগ্রাম করি। জনসভা আন্দোলন করি। যেখান থেকে আমাদের ধরে নিয়ে জেলে পুরে দেওয়া হয়। আরেকটা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ডিজিটাল মাঠ। ডিজিটাল মাঠটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার জনসভায় এট বেস্ট ৫০ হাজার ১ লাখ মানুষ হবে। আর আমার একটা ডিজিটাল কনটেন্ট মুহূর্তে ১০ লক্ষ ১ কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। সো ডিজিটাল মাঠটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই যে ডিজিটাল মাঠে জামায়াত তার প্রতিপক্ষ বিরোধীপক্ষ কিংবা যাকে সে তার রাজনৈতিক বয়ানের জন্য থ্রেট মনে করে তাকে কি ভাষায় আক্রমণ করে আপনারা লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই। তাদের অসংখ্য বট আইডি আছে এবং সেটা দিয়ে তারা একটা মানুষকে একেবারে মানে যেকোনো ভাষায় তারা আক্রমণ করতে পারে। যেকোনো বিষয়ে তারা কুৎসিত মন্তব্য করতে পারে।’
জামায়াতের রাজনৈতিক শিষ্টাচার নেই উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার সেটা তো আসলে এখন সুদূর পরাহত বিষয়। ধরুন, জামায়াতের ব্যাপারে আমি কি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলিনি যে, জামায়াতের অবস্থা অনেকটা এরকম হয়েছে যে তাকে একটা তকমা দাও এবং তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলো। এটা তো একটা সভ্য দেশে হতে পারে না। অথচ এটা ঘটেছে। সো আমি যখন তাদের পক্ষে কথা বলেছি তাদের দুর্দিনে, সেটা কিন্তু তারা মনে রাখেনি। এখন আমার কোনো কোনো বক্তব্য বা আমার কোনো বয়ান ঠিক এবং জাতীয় পার্টির কোনো রাজনীতি যদি জামায়াতের জন্য তারা হুমকি মনে করে, সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে এলিমিনেট করতে কিংবা তাদেরকে একেবারে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে দুইবার চিন্তা করবে না।’
আপনার মতামত লিখুন :