ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ইসিতে বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবি বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০২:৩৭ পিএম

ইসিতে বাগেরহাটে চার আসন বহালের দাবি বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির

ছবি: বর্তমান বাংলাদেশ।

এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নির্বাচন কমিশনে শুনানি শেষে সংবাদ ব্রিফিং করেন বাগেরহাটের রাজনৈতিক নেতা ও প্রতিনিধিরা। আজ সোমবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবি জানিয়েছেন বাগেরহাটের বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা–কর্মীরা।

আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানিতে অংশ নিয়ে এই দাবি জানান তাঁরা। শুনানি চলাকালে ইসি ভবনের সামনে বাগেরহাটের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে মানববন্ধন করতে দেখা গেছে।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ‘সিইসি জানে না, বাগেরহাটবাসী হারে না’, ‘আসন নিয়ে টালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘বাগেরহাটে চারটি আসন, মানতে হবে মানতে হবে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষে আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, ‘বাগেরহাট জেলার যে চারটি আসন ছিল তা পূর্বের মতো বহাল থাকুক, এটাই আমাদের দাবি। নির্বাচন কমিশনের কোনো সিদ্ধান্তের কারণে মানুষের ভোগান্তি বাড়ুক, এটা কাম্য নয়। আমরা আশা করছি, কমিশন বিষয়টি আমলে নেবে।’

বাগেরহাটে সংসদীয় আসন কমানো হলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে বলে মন্তব্য করেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কাজী মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, বাগেরহাটের মানুষের যাতায়াত ও যোগাযোগব্যবস্থা অনেক নাজুক। কাজেই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে এই জেলায় পাঁচটি আসন প্রয়োজন। কিন্তু কমিশন আসন চারটি থেকে কমিয়ে তিনটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দল, মত ও ধর্ম নির্বিশেষে জেলার সর্বস্তরের মানুষ এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মোল্লা রহমতুল্লাহ বলেন, ‘যদি নির্বাচন কমিশন বাগেরহাটের কোনো মানুষকে কষ্ট দিতে চায়, আমরা কমিশনের সামনে অবস্থান করব। সাধারণ মানুষের দাবি অনুযায়ী বাগেরহাটে চারটি আসন পুনর্বহাল করতে হবে।’ নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশ নিতে চাইলে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মোল্লা রহমতুল্লাহ।

শুনানি শেষে অংশগ্রহণকারী বাগেরহাট প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগের মতামত একই রকম হওয়ায় সবাইকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আমরা আপনাদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করেছি।’

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দিলে জেলার রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে এর প্রতিবাদ শুরু করে।

প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গতকাল রোববার সকাল থেকে জেলাজুড়ে সড়ক অবরোধ ও হরতাল পালিত হয়। এতে জেলার ভেতর ও বাইরের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে আজ সকালে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে চলা শুনানিতে আসনের সীমানা নিয়ে ভিন্নমত থাকা যশোর, খুলনা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন আসনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

শুনানিতে আরও অংশ নেন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, বাগেরহাট বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এস হালিম, বাগেরহাট তিন আসনে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপিপ্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে গতকাল সকাল থেকে জেলাজুড়ে সড়ক অবরোধ ও হরতাল চলছে।

গত ৩০ জুলাই নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি বাগেরহাট জেলার চারটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দিলে জেলার রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে এর প্রতিবাদ শুরু করে। এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন অব্যাহত আছে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!