ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫

সমাজসেবার কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির ফাইল গায়েব

বর্তমান বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম

সমাজসেবার কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির ফাইল গায়েব

লালমনিরহাটে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির ফাইল গায়েবে জড়িতরা আজও অধরা বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিনা ভোটের এমপি হয়ে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি লালমনিরহাট- ২ আসনের সাবেক এমপি, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদকে। এ ছাড়া মন্ত্রীর সহযোগিতায় তার পূত্র রাকিবুজ্জামান আহম্মেদ এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ১৫ বছরে নিজেও ও স্ত্রী সন্তান মিলে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় নিয়োগ, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস নিয়ন্ত্রণ, টেন্ডার কমিশন, ঠিকাদারি কাজ, বালু উত্তোলন, জমি দখল, সংখ্যালঘু নির্যাতন, নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থানসহ গড়ে তুলেছিলেন ত্রাসের রাজত্ব।  

একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রীর দুর্নীতি ঢাকতে ফাইল গায়েব বিষয়টি জানাজানি হলে গঠন করা হয় এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।সেই তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন লালমনিরহাট সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান। মোটা অংকের টাকার বিনিময় উপ-পরিচালক বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠে। আব্দুর রাজ্জাকে পীরগঞ্জ সমাজসেবা ও পারভীন বেগমের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে লালমনিরহাট সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে সংযুক্ত করে এবং প্রধান অধিদপ্তরে ফাইল হারিয়েছে বলে প্রতিবেদন দিয়ে চুপচাপ থাকেন।

এদিকে ২০২৫ সালের ২১শে এপ্রিল দুদকের গণশুনানি ছিল লালমনিরহাটে। ওইদিন সমাজসেবার দুর্নীতির ফাইল গায়েব বিষয়টি দুদকে অভিযোগ দায়ের করলে গণশুনানিতে দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তবে গুঞ্জন রয়েছে টাকার বিনিময়ে পারভীন বেগমকে আবারও কালীগঞ্জ উপজেলায় স্বপদে বদলি করা হয়েছে।তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে লালমনিরহাটের জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, আমার উদ্ধতন কতৃপক্ষের নিদেশে তদন্ত কাযক্রম পরিচালনা করেছি।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!