সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহে যেসব সবজি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৮০ টার ওপরে। বর্তমানে সেসব সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৮০ টাকার মধ্যে।
তবে দাম কমলেও ক্রেতার নাগালের বাইরে সবজির বাজার। ক্রেতাদের দাবি, ৪০ টাকার মধ্য থাকুক সব ধরনের সবজি।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নগরীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন ৮০ টাকার স্থলে প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই ভাবে প্রতি কেজি ঢেঁড়শ ৮০ টাকার স্থলে ৬০, কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকার স্থলে ১৮০, পটল ৬৫ টাকার স্থলে ৬০, শিম ২০০ টাকার স্থলে ১২০, কচুমুখি ৭০ টাকার স্থলে ৬০, চিচিঙ্গা ৮০ টাকার স্থলে ৫০, বরবটি ১২০ টাকার স্থলে ৮০, ধুন্দল ৬০ টাকার স্থলে ৪০ এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ এর স্থলে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এরমধ্য টমেটো ১৫০ এর স্থলে ১৮০, শসা ৪৫ টাকর স্থলে ৮০ এবং লেবু প্রতি ডজন (আকার ভেদে) ৪০ থেকে ৫০ টাকার স্থলে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সবজি সরবরাহের দাম উঠানামা করে। যা নিয়ন্ত্রণ করা বা দাম বেঁধে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।
টিটু নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, “বাজার সিন্ডিকেট শুধু রং বদলিয়েছে। কিন্তু হারিয়ে যায় নি। ফলে দাম আজকে হয়তো কমেছে। কাল ঠিকই বেড়ে যাবে। এমই ভাবে চলছে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের জীবন। তাকানো মতো কেউ নেই।”
রিয়াদ মাহামুদ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “বাজারে একেক দোকানে একেক দাম। তাই ঘুরে ঘুরে কিনতে হয়। কারণ দাম এখনো সহনশীল পর্যায়ে আসেনি। এখনো সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। এসব সবজি ৪০ টাকার মধ্য আসা দরকার। যেহেতু এখন শীতের মৌসুম, সবজির সরবরাহ বেশি থাকে।”
সবজি বিক্রেতা রাব্বানী বলেন, “সবজির দাম কম বেশি হবেই। যেদিন বেশি আসে আর বিক্রি কম হয়। সেদিন দাম কমে। আর এর বিপরীত হলে দাম বেশি। দাম বেঁধে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।”
ফাহিম নামের আরেক সবজি বলেন, “সবজির দাম আজকে একটু কম। সাথে ক্রেতাও কম। মাসের শেষ শুক্রবারে ক্রেতা কম থাকে।”
আপনার মতামত লিখুন :