ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৯ মে, ২০২৫
২১ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনএ‍‍`র নির্বাচন

বিএনএ‍‍`র নির্বাচন মহাসচিব পদে লড়ছেন সুজন

বর্তমান বাংলাদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম

বিএনএ‍‍`র নির্বাচন মহাসচিব পদে লড়ছেন সুজন

দীর্ঘ ২১ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন এর জাতীয় কার্যনির্বাহী নির্বাচন। 

আগামী ৩১ মে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র সারাদেশের নার্সদের মধ্যে তৈরী হয়েছে উৎসাহ উদ্দীপনা। সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘ সময় পর নিজেদের অভিভাবক বাছাই করে নিতে সচেষ্ট  নার্সেস সমাজ।

আসন্ন এই নির্বাচনে মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুজন মিয়া। ইতিমধ্যেই নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানামুখী প্রচার প্রচারণা। 

সুজন মিয়া বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নার্সিং কর্মকর্তা। ২০১৮ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সরকারি চাকরি হওয়া সত্যের যোগদান করেননি রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ও আদর্শিকতাই দেখেছেন বড় করে। 

সুজন মিয়া বাংলাদেশ নার্সেস

এসোসিয়েশন অফ ন্যাব যেটি বিএনপি সমর্থিত পেশাগত নার্সদের সংগঠন বর্তমানে মহাসচিব এবং বাংলাদেশ বেকার নার্স এর এসোসিয়েশনের সাবেক সহ-সভাপতি ও স্টুডেন্ট নার্সেস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, সারা বাংলাদেশের হাসপাতাল গুলোতে অনেক প্রার্থীরাই প্রচারণা করে যাচ্ছেন সেখানে একমাত্র মহাসচিব পদপ্রার্থী সুজন মিয়ার প্রচারণায় চোখে পড়েছে ভিন্নতা।

প্রচারণার অংশ হিসেবে নার্সদের অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে, স্পষ্ট তার প্রতিশ্রুতিগুলো।  

ঢামেকের এক নার্স কর্মকর্তা জানান, আমরা একজন সৎ, যোগ্য ব্যাক্তি চাই যাকে আমরা সবসময়ই পাশে পাবো। আমাদের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে যিনি সর্বদা সচেষ্ট থাকবেন সেই অর্থকে সুজন মিয়া যোগ্য বলে মনে করি।

অভিযোগ উঠেছে সুজন মিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, দেশের বিভিন্ন যায়গায় প্রচারণার নামে নানা মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছেন যা একেবারেই ভিত্তিহীন দাবী করে সুজন মিয়া বলেন, "রাজনৈতিক অঙ্গন কিংবা চিকিৎসা খাতে কেউ কখনো বলতে পারবে নাহ কাউকে খাটো করে একটা শব্দ উচ্চারণ করেছি সেক্ষেত্রে আমার প্রতিপক্ষের কাছে এমন আচরণ দুঃখজনক"।

তিনি বলেন, লড়াই হবে ভোটের মাঠে আমি তার বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাইনা নিঃসন্দেহে তিনি ভালো মনের মানুষ শুধু বলবো ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক হাতে হাত রেখে নার্সিং সেক্টরকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

এদিকে অনুসন্ধানে উঠে আসে বেশ কিছু তথ্য সুজন মিয়ার নামে অপপ্রচার চালনো প্রতিদন্ধি প্রার্থীই একজন বিতর্কিত প্রার্থী। কখনো বিএনপি, কখনো আওয়ামী লীগ আবার বর্তমান সময়ে এনসিপি তে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করে বারবার খোলস পরিবর্তন করার সাথে হারিয়েছেন রাজনৈতিক আদর্শিকতা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নার্সিং কর্মকর্তা জানান, সুজন মিয়া দীর্ঘ ১৭ বছর আড়ালে থেকে নার্সদের নিয়ে কাজ করে গেছেন। যিনি তার নামে, মিথ্যা বানোয়াট গুজব ছড়াচ্ছেন, তাহার রাজনৈতিক গুরু ডাক্তারদের সংগঠন  বিএমএর  মহাসচিব ইকবাল আহসান যার কর্মস্থল পিজি হাসপাতাল। অথচ সুজন মিয়াকে, প্রাইভেট হাসপাতালে নার্সিং কর্মকর্তা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। 

 

সুজন মিয়া বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) থেকেই প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। যেখান থেকে বদলি হওয়ার ভয় নেই, ডাক্তারদের সংগঠনের মতই আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে সঠিকভাবে প্রতিবাদ করা যায়। অথচ তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আপত্তিকর বিভিন্ন গুজব  যা নার্সদের কাছ থেকে ফায়দা নিতে নির্দলীয়তার কথা বলে বেড়াচ্ছেন। 

নার্সিং সংশ্লিষ্টদের দাবী, অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে এবং এই পেশায় সকল প্রতিকূলতা নিরসনে ও সিনিয়ারদের ন্যায সম্মান দিয়ে নার্সিং এর সকল প্রকার বিভাজন কাটিয়ে ওঠা হওয়া সম্ভব। তাই মহাসচিব পদপ্রার্থীতে, সুজন মিয়ার বিকল্প হিসেবে দেখছেন না অন্য কাউকে।

বর্তমান বাংলাদেশ

Link copied!