একটা বক্তব্য নতুন আসতেছে। বক্তব্যটা কি? জামায়াত যদি ক্ষমতায় যায়। তার মানে এখন কিন্তু যদি দিয়ে বলতেছে। জামায়াত যদি ক্ষমতা যায় তাইলে আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সম্ভাবনা আছে। উনারা রাজনীতির চাইলে এতো বড় ভুল করবেন এটাতো ভাবতেও অবাক লাগে। যেই আওয়ামী লীগ আল্লামা সাঈদীকে ৪৮দিন রিমান্ডে রেখে তার অবস্থান থেকে টলাতে পারলো না। যে আওয়ামী লীগ আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির কার্যকর করার আগে তার পরিবারের মাধ্যমে জামায়াত নেতৃবৃন্দের কাছে বিভিন্নভাবে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। আপনারা শুধু আর একটি দল (বিএনপি) এর সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে যাইয়েন না। তাহলে আপনাদের ফাঁসি হবে না, কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করবেন। এই ধরনের প্রলোভন পাওয়ার পরেও যে সংগঠন, যে সংগঠনের নেতারা নতি স্বীকার করলো না হাসতে হাসতে ফাঁসির মঞ্চে গেল সেই নেতাকর্মীরা ফাঁসি দানকারী, মিথ্যা রচনাকারী, অপবাদকারী সেই পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়ে পূর্ণবাসন করবে এটা কি করে আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন। সুতরাং জামায়াত এটা (আওয়ামী লীগের সাথে আতাত) করবে না বরং আপনারাই (বিএনপি) এটা করবেন।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টায় কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
কারণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন জামায়াত ক্ষমতায় চলে যাচ্ছে। জামায়াত কেটে যদি ঠকাতে হয় তাহলে আপনাদের সাথে আরেকটি শক্তি দরকার সেটা হলো পতিত স্বৈরাচার (আওয়ামী লীগ)। তারা হইলে আপনাদের জন্য সুবিধা। এবং এটাই হওয়ার জন্য আগামী দিনের ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ আজন্ম ভারতের বিরুদ্ধে এবং সেকুলারিজমের বিরুদ্ধে। আর ভারতের বিরুদ্ধে হওয়ায় কারণে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগেরও বিরুদ্ধে।
মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসুতে ছাত্রশিবিরের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পরে তারা বলতেছে এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না। প্রভাব যদি নাই পড়তো তাহলে তারা এগুলো নিয়ে ব্যস্ত হতো না। ইতিমধ্যেই তারা ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরে তাদের নাট-বল্টু ঢিলা হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে জামায়াত ইসলামের বাংলাদেশ। আগামী নির্বাচনে সকল ইসলামী দল ও গণতন্ত্রকামী দল একসাথে জোট হয়ে দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করবে।
সদস্য (রুকন) সম্মেলনে জেলা আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলার নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আজিজুল হক, সাবেক আমির মাওলানা তৈয়্যবুজ্জামান, আদুস সালামসহ জেলা ৬টি সংসদীয় আসনের মনোনীত স নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জেলার নারী-পুরুষ সাত শতাধিক সদস্য (রুকন) উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :