দুই দশক পর খোলা মাঠে লক্ষাধিক কর্মী-সমর্থক নিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ মে ) সকাল ৯টায় শহরের ঐতিহাসিক পুরাতন স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া সম্মেলন চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েব আমির অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. সামিউল হক ফারুকী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েব আমির অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, এ টি এম আজহারুল ইসলামের বিচার একটি সুবিচার হয়েছে। যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে ওই দল ও তাদের সঙ্গে যারা জড়িত সকেলর বিচার হওয়া উচিৎ। এবং আমরা বলছি আগে বিচার হবে এর পরে সংস্কার এর পরে নির্বাচন হবে। যারা বিচার চায় না, যার এখানে শুধু তারাতাড়ি নির্বাচন চায়, সংস্কার চায় না, আপনার বলে আগের মতো যদি নির্বাচন হয় এই নির্বাচনের দরকার আছে। ওইগুলোতো নির্বাচনিই হয় নাই। ২০১৪ বিনা ভোট হলো, ২০১৮ দিনের ভোট রাতে হলো এবং ২০২৪ সালে নিজেরা নিজেরা ভোট দিয়ে ডামি নির্বাচন। এই সময় তিনি দাবী করেন বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন চাই তবে যেন নির্বাচন চায় না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মদিনার আদলে ইসলামি রাষ্ট্র ব্যস্থা কায়েক করতে চায় বলে তিনি কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
কর্মী সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকে জেলার ১৩টি উপজেলার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :