নীলফামারীর ডোমারে সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের বিরুদ্ধে শতাধিক স্কুল কলেজের চাকুরীজীবী গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত কিস্তি কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, নিয়মিত তাদের কিস্তি পরিশোধ থাকার পরেও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে নির্ধারিত কিস্তির চেয়ে বেশি টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে।
ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজ এবং ডোমার বালিকা বিদ্যা নিকেতন এর ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারীরা সোমবার (২৫ নভেম্বর) অভিযোগ করে বলেন, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সোনালী ব্যাংক ডোমার শাখা থেকে কনজিউমার লোন নিয়েছে চাকুরীজীবীরা। চাকরীর বেতন থেকে নিয়মিত কিস্তি কেটে নেয়া হয়। লোন নেয়ার পর থেকে প্রতিটি কিস্তি পরিশোধ থাকলেও হঠাৎ দ্বিগুণ টাকা কেটে নেয়ায় চড়ম বিপাকে পড়েছে অনেকেই। গত ১২ নভেম্বর বিকেল ৫টার পর বেতন ঢুকে এবং পরেরদিন ভোর সাড়ে ৪ দিকে সোনালী ব্যাংকে থেকে মেসেজ এসে দ্বিগুণ টাকা কেটে নেয়।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ঋন নেয়ার সময় ৯% সুদ হিসেবে লোন নিলেও পরের মাস থেকে ১৩% সুদ হিসেবে কিস্তি কেটে নেয়ার কথা জানান ব্যাংকের অফিসার। এই ধরনের অভিযোগের জন্য গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতি হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংকের কার্যক্রমের প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন গ্রাহকেরা।
সোনালী ব্যাংক ডোমার শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপ্যাল অফিসার বখতিয়ার রানা হাসমী বলেন, যাদের বকেয়া কিস্তি রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বকেয়া কিস্তিটি কেটে নেয়া হয়েছে। গত ২৩ অক্টোবর থেকে ব্যাংকের সার্ভারে এই সিস্টেম চালু হয়েছে। ইতিপূর্বেও এই সার্ভিসটি ছিলো, কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর এটি আবারো চালু হয়েছে। এ বিষয়টি জানাতে গ্রাহকদের সাথে আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করে যাচ্ছি।
পরবর্তীতে অতিরিক্ত ৪% সুদ নেয়ার ব্যপারে তিনি জানান, যখন যেই পরিমান সুদ নির্ধারিত হবে বিগত সকল গ্রাহককে সেই নিয়মে সুদ দিতে হবে। এই বিষয়টি গ্রাহকদের পূর্বেই জানানো হয় বলে তিনি জানান।
আপনার মতামত লিখুন :